খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে বিএনপি অপরাজনীতি করেছে - নাছিম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে বিএনপি এতদিন দেশে অপরাজনীতি করেছে। তারা এতদিন মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি তৈরি করে ষড়যন্ত্র করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, বিএনপি নেতারা এতদিন বলেছে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিয়ে গেলে তিনি মরে যাবেন। তাঁকে কোনভাবেই বাঁচানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত আমরা দেখলাম তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছেন। বাংলাদেশে তাঁর সুন্দরভাবে চিকিৎসা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি কতটা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। তারা মূলত চেয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে দেশে অস্থিতীশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে।
নাছিম বলেন, বিএনপি এক দফা আন্দোলনের নামে ১৩ বছর যাবত দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। এর জন্য তারা সব করছে। তারা কখনো চায় না দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের জন্য সারা জীবন লড়াই করেছেন। তিনি সব সময় চেয়েছেন এ দেশের মানুষ খেয়ে পরে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকুক, শান্তিতে থাকুক। কিন্তু জিয়া-মুশতাক গংরা জাতির পিতাকে বাঁচতে দেয়নি। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুবই অমানবকিভাবে তাকে হত্যা করে। সেই মুশতাক-জিয়া গংদের দোসর হলো বিএনপি-জামায়াত।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনো চায় না বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হোক। তারা চায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় গিয়ে সবকিছু লুটপাট করতে। আবারও হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করতে চায়। তাদের এখন একটাই আফসোস তারা দেশকে পাকিস্তানের আদলে বানাতে পারেনি। আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব সময় বিদেশিদের কাছে গিয়ে ধর্না দেয়। তারা পরাশক্তির কাছে নালিশ করে। লবিস্ট নিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। বিদেশিদের টাকা দেয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য। অর্থনিতিকে বাধাগস্ত করতে তারা মূলত বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এর আগে খালেদা জিয়াও নিবন্ধ লিখে জিএসপি সুবিধা নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন, যা আমরিকার বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। বিএনপির কাজ হলো অপরাজনীতি করা, তারা কখনো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা সব সময় চায় বাংলাদেশ ধ্বংস হোক। শ্রমিক লীগের নেতা কর্মিদের উদ্দেশ্যে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ সব সময় মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। আপনাদের সকলকে সেটা মনে রাখতে হবে। সংগঠনের শক্তিকে আরও বাড়াতে হবে। দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। জনপ্রিয়দের খুঁজে বের করতে হবে। দেশের স্বার্থে, জাতির পিতার আদর্শের স্বার্থে, বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার স্বার্থে এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় শ্রমিক লীগের সকল নেতা কর্মীরা বিএনপি জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবে।
তিনি বলেন, শ্রমিক লীগের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিগত দিনে সংগঠনের অভ্যন্তরে কি হয়েছে, কেন হয়েছে, সেগুলো আর আমরা বলতে চাই না। আমরা চাই সকল ভেদাভেদ ভুলে আজ থেকে নতুনভাবে শুভ যাত্রা করবে শ্রমিক লীগ। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মধ্যে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবে। আজ থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। অতীতের মতো আমরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো। বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থিত শ্রমিক লীগ অফিস উদ্বোধন ও নব উদ্যোমে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কে এম আযম খসররুর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, মো. শাহাবউদ্দিন, মহসিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বি. এম. জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, দফতর সম্পাদক এ.টি.এম ফজলুল হক, প্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান প্রমুখ।