ইসি গঠন আইন নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস : জিএম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫১ পিএম, ২৯ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৪০ এএম, ৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া আইনকে নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, আইন করার পরও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। নতুন করা আইনটি পুরাতন পদ্ধতিকে একটি আইনগত কাঠামোতে এনে আইনসম্মত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে জাতীয় পার্টির দেয়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, আমরা প্রস্তাব করেছিলাম আগামীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে তার জন্য উপরোক্ত সংবিধানের বিধান অনুসারে একটি আইন করা দরকার। আইনের উদ্দেশ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন ও সে অনুযায়ী যোগ্য ও মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা সুনির্দিষ্ট করা।
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, আমরা যোগ্যতার মাপকাঠি বলতে দায়িত্ব পালনের দক্ষতাকে বুঝিয়েছি। মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বলতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে নিরপেক্ষ ব্যক্তি নির্বাচনের কথা বুঝিয়েছিলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা উল্লেখ করেছিলাম আমাদের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে। কিন্তু বাস্তবে এ বিষয়টি খুব একটা কার্যকর হতে দেখা যায় না।
ফলে কীভাবে এটি প্রযোজ্য হবে বা কার্যকর করা যাবে তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকা আবশ্যক। বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমাদের প্রস্তাব ছিল সে কারণে এ বিষয়েও একটি আইন থাকা প্রয়োজন। যে আইনে, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনী কাজে কোনো কর্মচারী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাবলী পালন না করিলে নির্বাচন কমিশন নিজেই যেন প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে এইরকম একটি আইন করা দরকার।
তিনি বলেন, যথোপযুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই তা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে না; যতক্ষন পর্যন্ত না সে নির্বাচন কমিশনকে কর্তব্য সম্পাদনের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব ও সহযোগিতা দেয়া হয়। বর্তমান যে আইনটি পাস হয়েছে তাতে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন গঠন বিষটি বিবেচনা করা হয়েছে, তাদের যথাযথ ক্ষমতার বিষয়টি বিদ্যমান আইনের আওতায় আনা হয়নি।