পটিয়ায় ছাত্রলীগের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২৮ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চট্টগ্রামে পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাজমুল সাকের ছিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গৃহবধুকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ঘটনায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের কাছে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করে আইনীয় সহায়তা চেয়েছে নির্যাতনের শিকার উক্ত মহিলা।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি/সেক্রেটারীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে দাবি করেন। গত দুই বছর আগে নাজমুল সাকের সিদ্দিকীর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ে সূত্র ধরে সে বিভিন্ন সময় কথা বলত। পরবর্তীতে সে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিয়ে করে সংসার করার প্রলোভন দেখিয়ে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অজুহাতে আমার কাছ থেকে নগদ টাকা ধার হিসেবে নিত, যা এক পর্যায়ে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। এরপরও সে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে নগদ ১ লক্ষ টাকা নেয়। দলীয় কর্মসূচির নামে বিভিন্ন সময় হাজার হাজার টাকা নেয়। বিষয়টি অনেকের মধ্যে জানাজানি হওয়ার পর সর্ম্পক ছিন্ন করে মানুষ দিয়ে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখান। নির্যাতনের শিকার মহিলা বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করার খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল বিভিন্নভবে হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করার পর চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাজমুল সাকের ছিদ্দিকী বলেন, একটি গ্রুপ মহিলাকে দিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ঘটনাটি সত্য নয় বলে দাবি করেন, আমাকে আমার প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এসব করেছে, আমি উক্ত মহিলার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি, পটিয়া থানার ওসি উনাকে ফোন করে থানায় আসার অনুরোধ করলেও থানায় আসেনি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, অভিযোগের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রমান পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে জানার জন্য পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ঐ ছাত্রলীগ নেতার কাছে নাকি উক্ত মহিলা সহযোগিতার জন্য গিয়েছিল, উনি সহযোগিতা না করায় তার বিরুদ্ধে এসব করতেছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে তবে মহিলার সাথে এখনো বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারিনি।