নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হোমিও দিয়ে কাজ হবে না - গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৮ পিএম, ২৫ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আমাদের দেশে কোনো ফ্যাক্টর না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করে, নির্বাচন কমিশনের লোকবল নাই। তাই মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফ, এমনকি আমাকেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করা হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনে যে আইন তৈরি করছে তা বেআইনি। অতীতের অপকর্ম ঢাকতে আইন তৈরি। কাজেই ওদের আইন ওদেরই থাকুক। আমরা তো বলেছি যদি টিউমারটা ফেলে দিতে পারি, পরীক্ষায় যদি দেখি ক্যান্সার নাই তাহলে জাতি পরিষ্কার।
গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন মেডিসিন ও হোমিও দিয়ে কাজ হবে না। এবার স্যার্জিক্যালে যেতে হবে। তাহলেই এই সরকার টিকবে না, সরকারের টিকার মতো কিছু নাই। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা কি রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য? সরকার যদি তাদের অবসরে পাঠিয়ে দিত তাহলেও তো তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) মনে করত বাংলাদেশের সরকার বিষয়টি আমলে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পাত্তা না দিয়ে যাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের প্রেসিডেন্ট পুরস্কারে ভূষিত করেছে। আশঙ্কার বিষয় আমরা যেভাবে পাত্তা দিচ্ছি না সেটি বহির্বিশ্বে শক্তি ও রোষানলে একঘরে হয়ে যাব না তো? একা কোনো দেশ চলতে পারে না, একা চলা যায় না। স্বাস্থ্যখাত অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত। সমস্ত জাতিকে আক্রান্তমুক্ত করতে ফ্যাসিজমের সিম্বল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেতে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন জিয়াউর রহমান। কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন প্রমুখ।