জিয়াবাড়ীতে কোকোর আত্নার মাগফিরাতে জনতার ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৪ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ায় পালিত হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে ছিল আরাফাত রহমান কোকোর গ্রামের বাড়ী গাবতলীর বাগবাড়ীর ‘জিয়া বাড়ী’- প্রাঙ্গনে কোরআন খানি, মিলাদ মাহফিল, দোয়া-মোনাজাত, অসহায় দুঃস্থদের মাঝে খাবার এবং গাবতলী-বাগবাড়ী এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানার উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ’-যুক্তরাজ্য শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সকল কর্মসূচি পালন উপলক্ষে জিয়াবাড়ী প্রাঙ্গনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জিয়াবাড়ীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঘর নেমেছিল। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য ও কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাবতলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন। জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা এম আর ইসলাম স্বাধীন ও গাবতলী পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম। এসময় রেজাউল করিম বাদশা বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ করে ক্রিকেটের উন্নয়নে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর অবদান ছিল অসামান্য। তিনি বলেন, বগুড়ায় আন্তজার্তিক শহীদ চান্দু ষ্টেডিয়াম নির্মানে তার পরিশ্রম ত্যাগ ও সময়নুবর্তিতা ছিল অনুসরনীয়। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামানা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মরহুম কোকো বগুড়ায় আন্তর্জাতিক ষ্টেডিয়াম নির্মান করেছিলেন তা আজ ষড়যন্ত্রে স্বীকার। এ সরকার রাজনৈতিক পতিহিংসার কারনে শহীদ চান্দু ষ্টেডিয়ামকে অবহেলিত করে রেখেছে এবং কোন আন্তর্জাতিক খেলা হতে দিচ্ছে না। তিনি বলেন, বগুড়ায় আন্তর্জাতিক মানের ষ্টেডিয়াম থাকলেও এখানে খেলার ভ্যেনু হিসেবে ব্যবহার না করে বিপুল টাকা ব্যায় করে ফতুল্লা ষ্টেডিয়াম নির্মান করে সেখানে খেলা দিচ্ছে। অথচ বগুড়ায় খেলা দিচ্ছে না। ইনশাল্লাহ এর জবাব একদিন দেওয়া হবে।
উপস্থিত ছিলেন, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, মনিরুজ্জামান মনি, সরকার মুকুল, মাহফুজুল হক টিকন, ডাঃ ছাবেদ আলী, মাহিদুল ইসলাম, এনামুল হক নতুন, নাজমুল হক, মনজুর মোর্শেদ, আরিফুর রহমান মজনু, রুহুল হাসান রুহিন, নুর আলম, মহব্বত আলী, মশিউর রহমান সুমন, নসিপুর ইউপি চেয়ারম্যান রোকন তালুকদার, জোবায়দুর রহমান গামা, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মনিরুজ্জামান ফারুক, সজল, শাহীন সরকার, বজলু ,আনজু মন্ডল, পটল প্রমুখ। অপরদিকে বাদ আসর বগুড়া বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ যুক্তরাজ্য শাখার আয়োজনে কোকোর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির আহবায়ক রেজাউল করিম বাদশা, ফজলুল বারী বেলাল, ভিপি সাইফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন চাঁন, এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কে এম খায়রুল বাশার, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, শহীদ উন নবী সালাম, মনিরুজ্জামান মনি, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, ডাঃ মামুনুর রশিদ মিঠু, ডাঃ আজফারুল হাবিব রোজ, ডাঃ ইউনুস আলী, এ্যাডঃ নাজমুল হুদা পপন, আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল হামিদ মিটুল, ডাঃ আশিক মাহমুদ ইকবাল স্বাধীন, খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জাহাঙ্গীর আলম, সরকার মুকুল, আবু হাসান, নুরে আলম সিদ্দিক রিগ্যান, সাইফুল ইসলাম বাবলু, মেহেদী হাসন হিমু, রুস্তম আলী, তৌহিদুল ইসলাম বিটু, এনামুল হক সুমন, মাহিদুল ইসলাম গফুর, ফার্মার রফিকুল ইসলাম, আহসান হাবীব লিটন, মাসুদ রানা মাসুদ, হাসানুজ্জামান পলাশ, নুরুল হুদা, হারুনুর রশিদ সুজন, আশরাফুজ্জামান প্রবাল, মাহবুব হাসান লেমন, আতিক মল্লিক প্রমুখ। জিয়া পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান সজল, সাইদুজ্জামান শাকিল, সৈয়দ আব্দুল গফুর দারা, শামীম রেজা, এ্যাডঃ আব্দুল্লাহেল বাকী লিপন, রাকিবুল ইসলাম শুভ, উজ্জল হোসেন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রনেতা আব্দুল আওয়াল, মিল্টন, রিয়ন, রাকিব, রবি উজ্জল, সন্ধান,হীরা আরিফ, নিশান, শাকিল, সাগর, সৈয়দ নাহিদ, সেয়াবে ইসলাম অভি, সাব্বির হোসেন, নাজির আহমেদ শাওন, তাওহিদুল ইসলাম, অরিক রেজা, আলভি আসিফ, নুরমোহাম্মদ প্রমুখ।