গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে : মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ২১ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিবে না। গণতন্ত্র ফরিয়ে নেয়ার জন্য বিএনপিকে দায়িত্ব নিতে হবে। যদি আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে না পারি, তাহলে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবো না।
আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল এখন পর্যন্ত সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে। এইটার প্রমান, ২০১৮ তে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আমরা নির্বাচন গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন তারা দেখলো দিনে যদি জনগণ ভোট দিতে পারে তাহলে তারা আওয়ামী লীগ এর কোনো পাত্তা থাকবে না। তাই তার প্রশাসনকে দিয়ে এই ভোট ডাকাতি করেছে। এইটা বাংলাদেশর সবাই জানে। এইভাবে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র শূন্য করে ফেলেছে। এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য।
তিনি বলেন, এই সরকার নানা ভাবে আমাদের মিটিং মিছিল করতে দিচ্ছে না। তাই আমরা আজকে সীমিতভাবে এই মিটিং করতে বাধ্য হচ্ছি। যাতে এগুলো জনগণের কাছে প্রকাশিত না হয়। দেশে বিদেশে না জানে সেই সব ব্যবস্থা করে স্বৈরাচারি আচরণ করছে। কিন্তু এগুলো ধামাচাপা দেয়া সম্ভব হয় নাই। আমেরিকার গণতান্ত্রিক সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশে গনতন্ত্র নাই।
তিনি আরো বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র নাই সেই দেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। আজকে মানবাধিকার লঙ্গিত। আমরা গুমের হিসাব দিয়েছি, বিচারবহির্ভূত হত্যার হিসাব দিয়েছি। বিএনপির বিরুদ্ধে এক লক্ষেরও বেশি মামলা ৩৬ লক্ষের মত আসামি। আওয়ামী লীগ মনে করেছে আমরা নির্যাতন করে মুখ বন্ধ রেখে পার পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু পার কি পেয়েছে। আর সারা বিশ্ব জেনে গেছে এদেশে মানবাধিকার নেই। এইটা কোনো ভাবে গৌরবের বিষয় নয়, জাতিগত ভাবে এইটা আমাদের লজ্জার বিষয়।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধীতা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার যে অর্থনৈতিক ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে আমাদের যে শোষণ করছে। আরেকটা শোষণের অস্ত্র আমরা পত্রিকায় দেখলাম। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আমরা এই সভা থেকে তীব্র বিরোধীতা করি। তারা জনগণের সরকার নয়। তারা তেলের দাম বৃদ্ধি করছে বিদুৎ এর দাম বৃদ্ধি করছে। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বড় বড় প্রোজেক্ট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। আর নয় এই গ্যাসের দাম আর বৃদ্ধি করা যাবে না। এই অনাচার থেকে রক্ষা পেতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করি।
ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম, রফিকুল আলম প্রমুখ।