অনির্বাচিত সরকারের আইন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না : মির্জা আব্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২০ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৭ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
অনির্বাচিত সরকার আইন পাস করলে তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে দাবি করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে এ কথা বলেন তিনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই ক্যাম্পের আয়োজন করে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন পাস করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে দেখলাম, খুব অজ্ঞানী এক লোক। উনি পাকা পাকা ভাষায় কথা বলেন। ইঁচড়ে পাকা একটা ছেলে। হাছান মাহমুদ না কি তার নাম। সে বলতেছে, আমরা কি করতে যাচ্ছি তা বিএনপি বোঝে নাই। বিএনপি খুব ভালো বুঝেছে আপনারা কি করতে যাচ্ছেন। আপনারা বাকশালকে পুনঃপ্রবর্তন করতে যাচ্ছেন। এটা বিএনপি খুব ভালো জানে। বিএনপি খুব ভালো বোঝে।
তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা বলছেন, আইন পাস করবেন। কিসের আইন পাস করবেন? আপনারা তো অনির্বাচিত নিশিরাতের সরকার। আপনারা কোনো আইন পাস করতে পারেন না। যে আইন পাস করবেন, সেই আইন বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং নির্বাচিত সরকার আসবে, সেই নির্বাচিত সরকার যে কোনো রকম আইন প্রণয়ন করবে- আমরা তা মেনে নেবো। কিন্তু যে বেআইনি আইন করার প্রচেষ্টা আপনারা চালাচ্ছেন, সেটাকে আমরা কখনই মেনে নেবো না। আমরা একজন ক্ষণজন্মা পুরুষকে হারিয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ক্ষণজন্মা পুরুষকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। এই দেশকে পরাধীন করার জন্য বিদেশি প্রভুদের নির্দেশে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ধুঁকে ধুঁকে হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন উল্লেখ আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যু শয্যায় জীবন কাটাচ্ছেন। আজকে এমনি সময়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে এবং কি। এদেশের মানুষকে যিনি গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন, তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আর আজকে ওই আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে তিলে তিলে মারার চেষ্টা করছে। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানকে মানুষের মন থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা করছে। ইতিহাসের পাতায় শহীদ জিয়ার নাম যাতে না থাকে, সেই অবস্থা তারা তৈরি করছেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, জিয়াউর রহমানের নাম মানুষের মনের পাতায় গাঁথা হয়ে গেছে। সেই নাম মুছে ফেলার কোনো সম্ভাবনা নাই।
জিয়াউর রহমানের নাম শুনলে অনেকের গাত্রদাহ হয় মন্তব্য করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম শুনলে অনেক মানুষের গাত্রদাহ হয়। অন্য কারো নাম শুনলে কারো গাত্রদাহ হয় না। কেনো?
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।