ইসি নয়, বিএনপির দাবি নিরপেক্ষ সরকার : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ১৯ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির দাবি নির্বাচন কমিশন (ইসি) নয়, নিরপেক্ষ সরকার বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ইসি গঠনে সরকারের খসড়া আইন প্রসঙ্গ টেনে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এই কর্মসূচির আয়োজন করে। ড্যাবের চিকিৎসকরা এই ক্যাম্প থেকে বিনামূল্যে ১৮০ জন গরীব রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার খসড়া আইন করছে। এতে অন্যতম শর্ত হচ্ছে- গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে ওইসব ব্যক্তির কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ সরকারি কর্মচারি ছাড়া আর কেউ কমিশনে নিয়োগ পাবেন না। আর সরকারি কর্মচারি মানেই হচ্ছে শেখ হাসিনার কর্মচারী। আরো দেখা যাচ্ছে সিভিল সোসাইটির কেউ অথবা কোনো শিক্ষাবিদ, কোনো আইনজ্ঞ তারা কেউ সদস্য হতে পারবেন না।
সার্চ কমিটি আইনসিদ্ধ ছিল না, এখন আইন সিদ্ধ করছে। আগে কাবিন ছাড়া সংসার করেছে, এখন কবিন করে সংসার করছে। অর্থাৎ আইন করে অবৈধকে বৈধ করছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবি নির্বাচন কমিশন নয়, আমাদের দাবি হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের গঠন করা নির্বাচন কমিশন দিয়ে ২০০১ সালে ভোট হয়েছিল। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়েছিল। অতএব নির্বাচন কমিশন বা এই আইন নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
গয়েশ্বর আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে বলবো, আপনি কবে যাবেন, সেই প্রস্তুতি নিন। এছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। আপনার যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিদেশেও পালাতে পারবেন কিনা জানিনা। কারণ, একের পর এক চালান ফেরত আসছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা না হতো, যদি গণতন্ত্র থাকতো, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের ঘটনা ঘটতো না।
ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. আব্দুস সালামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুল ইসলাম, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।