সাবেক বিচারপতি টি এইচ খান এর মৃত্যুতে তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৮ এএম, ১৭ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০৭ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তোফাজ্জল হোসেন খান (বিচারপতি টি এইচ খান) এর মৃত্যুতে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন।
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান-এর শোকবার্তা,
বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তোফাজ্জল হোসেন খান (বিচারপতি টি এইচ খান) (১০২) গতকাল রবিবার বিকেল ৫ টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।
আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, "মরহুম টি এইচ খান ছিলেন এদেশের বরেণ্য আইনজীবী ও খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপি'র জন্মলগ্ন থেকে সক্রিয় ছিলেন। দীর্ঘ জীবনে তিনি আইন পেশার পাশাপাশি বিচারক হিসেবেও সর্বমহলে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন।
তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ। জনকল্যাণের মহান লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই তিনি এলাকাবাসীর নিকট ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও পরম আপনজন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ন্যায়পরায়ণ বিচারপতি হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি ছিল সর্বজনবিদিত। তিনি ছিলেন একজন সৎ, কর্তব্যপরায়ণ এবং আদর্শনিষ্ঠ ব্যক্তি। দেশের যেকোন সংকট মোকাবেলায় তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করতেন।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণকে বুকে ধারণ করে তিনি স্বদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার মন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়নে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকর্মী হিসেবে গণতন্ত্রে উত্তরণে তাঁর গৌরবময় অবদান দেশবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
তাঁর ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।"
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর শোকবার্তা,
পৃথক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্টের খ্যাতিমান আইনজীবী তোফাজ্জল হোসেন খান (বিচারপতি টি এইচ খান) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "বাংলাদেশের রাজনীতি, আইন ও বিচার বিভাগে এক অনন্য নাম বিচারপতি টি এইচ খান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার মন্ত্রী হিসেবে বিচারপতি টি এইচ খান দেশগঠনে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।
এছাড়া প্রাজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান বিচারপতি টি এইচ খান ময়মনসিংহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে প্রভূত অবদান রাখেন। বিজ্ঞ বিচারক হিসেবে তিনি সবসময় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন। সদালাপী ও পরোপকারী হিসেবে সুনাম ছিলো তাঁর। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন বলেই বিএনপি'র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দলের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী মরহুম টি এইচ খান সংকীর্ণতার অনেক উর্দ্ধে উঠে দশ ও দেশের স্বার্থে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও আইনী লড়াই চালিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালেও তিনি দলের নীতি, আদর্শ ও কর্মসূচি পালন থেকে ন্যুনতম বিচ্যুৎ হননি। আমি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকবিহব্বল পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।"