সিদ্ধিরগঞ্জে নির্বাচনেও থেমে নেই আ’লীগের কাউন্সিলর ফারুকের চাঁদাবাজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৩৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে ফুটপাতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা শতাধিক দোকান পাট থেকে আ’লীগের কাউন্সিলর ওমর ফারুকের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। অনেকটা প্রকাশ্যেই তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রনি ওরফে ত্যারা রনি ও দেলোয়ারের মাধ্যমে পুরো চাঁদাবাজির আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করেন ওমর ফারুক।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, চিটাগাংরোডের শিমরাইল মোড়ের আফির উদ্দীন সুপার মার্কেট থেকে মাইক্রো স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় এক শতাধিক দোকান থেকে দৈনিক চাঁদা তোলে ফারুকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রনি ও দেলোয়ার। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এসব কাজ করে চলেছে ফারুক। তবে ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়না বিধায় এসব অপকর্ম চাপা থেকে যায়।
সূত্র জানায়, পূর্বে শিমরাইল মোড়ের চিটাগাংরোড ফুটপাত দখল করে কাউন্সিলর ফারুকের সহযোগী শামীমসহ কয়েকজন চাঁদাবাজকে দিয়ে হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত ২০০ টাকা করে চাঁদা তুলতো ফারুক। কিন্তু ইতিপূর্বে র্যাব অভিযান চালিয়ে তার চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করলে তাদেরকে বাদ দিয়ে দেয়। পরে কৌশল পাল্টে রনি ও দেলোয়ার নামে আরেক চাঁদাবাজকে দিয়ে বর্তমানে টাকা তুলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফুট ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে জানান, চিটাগাংরোডের ফুটপাত থেকে রনি ও দেলোয়ার নামে কাউন্সিলর ফারুকের দুই সহযোগী দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদা তোলে। কিন্তু নির্বাচনের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন তাকে ভোট দিলে পুলিশ কখনও ফুটের দোকান উঠাবেনা এবং কেউ চাঁদাবাজী করতে পারবে না। কিন্তু তিনি কাউন্সিলর হওয়ার পর নিজেই লোক দিয়ে চাঁদাবাজী শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যেন আমাদের উঠিয়ে না দেয় সেজন্য কাউন্সিলর ফারুক টাকা নিলেও নিয়মিত অভিযান চালিয়ে পুলিশ আমাদের উঠিয়ে দেয়। কিন্তু এরপরও আমাদের কাছ থেকে তিনি টাকা উঠানো বন্ধ করেননি। এ বিষয়ে আমরা ১৫/১৬ জন ব্যবসায়ী তার সাথে কথা বলতে গেলে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তার অফিস থেকে বের করে দেন। চুপচাপ নিরবে এসব অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি আমরা ভূক্তভোগীরা।
অন্য আরেকটি সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে আব্দুল আলী পুল হয়ে পুকুরপাড় পর্যন্ত যাত্রী বহনকারী নিষিদ্ধ অটো ইজিবাইক থেকে নিয়মিত চাঁদা উত্তোলন করতো ফারুকের পালিত চাঁদাবাজ মুন্না খান।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর ফারুক বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।