সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডে আ’লীগের ভুমিদস্যু ও চাঁদাবাজ রাজু কাউন্সিলর হতে চায়!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৪ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু (৪৭)। তার বিরুদ্ধে ভুমিদস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ এলাকাবাসীর মুখে মুখে। স্থানীয় প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের নাম বিক্রি করে সে নিজেকে আওয়ামীলগের প্রার্থী বলে এলাকায় প্রচার করছেন। এবং বলে বেড়ান তাকে শামীম ওসমান দাড়াতে বলেছেন। যা সম্পন্ন মিথ্যা।
আওয়ামীলীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতারা জনিয়েছেন, দলীয়ভাবে তাকে কেউ সমর্থন দেয়নি। তারা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ভুমিদস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে দল সমর্থন দেয়ার প্রশ্নই উঠে না।
এদিকে ২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জানান, এলাকায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ভুমিদস্যুতার অভিযোগ শুধু না, তার বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে চিটাগাংরোড রেন্টে এ কার স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সে রেন্ট এ কার স্ট্যান্ডের কথিত সভাপতি হয়ে ছড়ি ঘুরাচ্ছে সাধারণ গাড়ি মালিকদের উপর। এছাড়াও রেন্ট এ কার স্ট্যান্ডের চারপাশে ফুটপাতের অবৈধ দোকান থেকেও সে চাঁদাবাজি করে। এমন লোক যদি নির্বাচিত হয় তাহলে এলাকায় কাজের চেয়ে ভুমিদস্যুতা আর চাঁদাবাজি বেড়ে যাবে। সে এলাকায় কম দামে ভেজাল জমি, ওয়ারিশ সম্পত্তি বেশি কিনে। তারপর মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে। তার একটি সিন্ডিকেট রয়েছে এলাকায়। যাদের মাধ্যমে তার অপকর্ম চলে। এই ধরনের লোক নির্বাচিত হলে এলাকায় অপরাধের সংখ্যা বাড়বে।
গত বছরের ১৪ জুলাই বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সারোয়ার কাদেরী নামের এক ব্যবসায়ী রাজুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের সূত্র মতে, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার জমি ব্যবসায়ী সারোয়ার কাদেরী মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) হাজেরা মার্কেটের দক্ষিণে বিক্রির জন্য ১০ কাঠা জমি এক ক্রেতাকে দেখাচ্ছিলেন। এমন সময় আমিনুল হক রাজু, তার সহযোগী আল আমিন, দেলোয়ার হোসেন দোলন এবং আজিজ মিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন, আমিনুল হক রাজু এবং তার সাথী ছাড়া অন্য কেউ এই এলাকায় জমি কেনাবেচা করতে পারবে না। করলে তাদেরকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তাদের এই প্রস্তাব অস্বীকার করলে ওই ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
ওই সময়ে চাঁদা দাবির বিষয়ে আমিনুল হক রাজু দাবী করেছিলেন, তিনি কারো কাছে কোনো চাঁদা চাননি। এবং সারোয়ার কাদেরী নামে কোনো ব্যক্তিকে চিনেন না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, সারোয়ার কাদেরী নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে এলাকাবাসী জানায়, নাসিক ২নং ওয়ার্ডের একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের হোতা হচ্ছে আমিনুল হক রাজু। সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড রেন্ট-এ কার স্ট্যান্ডের হোতাও সে। স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির বড় অংশ যায় তার পকেটে। এছাড়া মিজমিজি টিসি রোড ও মিজমিজি পুর্বপাড়া পাগলাবাড়ি এলাকার একটি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি গ্রুপের সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। ওই গ্রুপের কোন সদস্য গ্রেপ্তার হলে তদবিরে নামে আমিনুল হক রাজু। তদন্ত করলে রাজু গংয়ের নানা অপকর্মের চিত্র বেরিয়ে আসবে।