এসপির অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করবো : তৈমুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ১১ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে আপনাদের অবগত করেছি। নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই আমাকে লেভেল পেয়িং ফিল্ড দেয়নি।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে আমি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সমানে গিয়ে অবস্থান নেব। সেখান থেকেই আমি নির্বাচন পরিচালনা করব। দেশবাসী আমার সঙ্গে থাকবে। এসময় তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সদর থানা নির্বাচনী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল উপস্থিত ছিলেন।
তৈমূর বলেন, গতকাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে বন্দর থেকে আমার ১৭ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কমপক্ষে ৪০ জনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় আমার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর ২০ হাজার নেতাকর্মীর একটা র্যালিতে আমার সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আমি সে সমাবেশে যাইনি। কিন্তু আমার বার বার অভিযোগের পরেও সরকারি দল এমপি ও বড় বড় নেতাদের এনে উস্কানিমূলক ও ভয়ভীতি ছড়ানোর মতো কথাবার্তা বলেন। একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন, তৈমূরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। আরেকজন সম্মানিত নেতা অতি দায়িত্বশীল তিনি বলেছেন, তৈমূর ঘুঘু দেখেছে ফাঁদ দেখেনি। তিনি ২৪ ঘণ্টায় আমাকে রেজাল্ট দেখানোর কথা বলেছেন। এ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু ও ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি।
আপনারা জানেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি আমার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক। তার হাতে দায়িত্ব ছিল এজেন্ট ও নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ পরিচালনা ও সহযোগিতা করা। কালকে যখন আমি জানতে পারলাম রবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তৎক্ষণিক এসপি অফিসে যাই। তিনি অফিসে নেই। টেলিফোনে বললাম রবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেন?। তারা বললেন তার নামে ওয়ারেন্ট আছে।
সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলমের উকিল মেয়ে রেশমী অভিযোগ করে বলেন, তৈমূর আলমের হাতি প্রতীকে কাজ করায় সোমবার গভীর রাতে ২২নং ওয়ার্ড থেকে আমার স্বামী আশরাফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আমাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তখন আমি বুঝিনি। এখন বুঝতে পারছি।
তৈমূর বলেন, বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যাদের নামে ওয়ারেন্ট নেই। আমি বললাম যেদিন আমি নমিনেশন ক্রয় করি, জমা দেই এমনকি বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের দিনও আমার সঙ্গে ছিল রবি। আপনি তাকে এতদিন গ্রেফতার করেননি। আপনারা কী চান না নারায়ণগঞ্জে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক?।
আপনাদের দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমার ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মোশাররফ হোসেন জানিয়েছে, তার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি করেছে। মাজহারুল ইসলাম জোসেফের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। সে যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে।
তৈমূর বলেন, এ নির্বাচনে যদি আপনি পুলিশ দিয়ে এভাবে হয়রানি করেন তাহলে আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি মনে করি। সরকারের অনেক বড় বড় কর্মকর্তাদের বিলেত যাওয়ার ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আপনার নিজের ভাবমূর্তির প্রশ্নে বিষয়টা বিবেচনায় রাখবেন।