সরকার উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে প্রতারিত করছে : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ৯ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সরকার উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে প্রতারিত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, লাজ-লজ্জা যদি একেবারেই হারিয়ে যায় তাকে কিছু বলার থাকে না। যাদের সামান্য হারায় তাদের কিছু বললে তারা আরো লজ্জিত হয়। আর যাদের মোটেও লাজ-লজ্জা থাকে না, তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। লজ্জার সমস্ত আবরণ এই সরকার হারিয়ে ফেলেছে।
আজ রবিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় প্রয়াত জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রিজভী এ কথা বলেন।
সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের সমালোচনা করে বিএনপির রিজভী বলেন, 'গত পরশু দিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২২ সাল হবে উন্নয়নের মাইলফলক। আমি বলতে চাই, এই উন্নয়নের ধারায় দেশ ও জনগণ আরো কত প্রতারিত হবে? আর কত নিঃস্ব হবে।'
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যখন ডানে-বামে সব সময় তাকাতে হয় কেউ আমাকে অনুসরণ করছে কি না। এক প্রচণ্ড ভয় এবং শঙ্কার মধ্যে আমাদের দিন-রাত যখন অতিবাহিত হয়, তখন এই তরুণরা ফ্যাসিবাদ, নাৎসীবাদ, পৃথিবীর সমস্ত আইনকে কড়ায়ত্ব করে জনগণের ওপর যারা ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে এই অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা যে অস্ত্র হানে এটা নিঃসন্দেহে গোটা জাতিকে প্রেরণা দেয় এবং আমরাও অনুপ্রাণিত হই।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পত্রিকায় দেখলাম ৭-৮টা পিওনের পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার আবেদন করা হয়েছে। তার মধ্যে অসংখ্য এমএ পাস আছে। এটাই হলো শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার কি আমরা চিবিয়ে খাব? আপনি ২০২২ সাল বলেছেন উন্নয়নের মাইলফলক। আর গণতন্ত্রের কী হবে, কথা বলার স্বাধীনতার কী হবে? এই যে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট যারা সত্য কথা বলতে গিয়ে, সত্য মন্তব্য করতে গিয়ে যাদের নিরুদ্দেশ করছেন, যাদের বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছেন, যাদেরকে গুম করেছেন, তাদের কী হবে, গণতন্ত্রের কী হবে? সেই কথা বলার স্বাধীনতার কী হবে?
সংগঠনের আহ্বায়ক ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এহমল হোসেন পাইলট, হায়দার আলী লেলিন প্রমুখ।