ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা, বিএনপি’র সমাবেশে গণজোয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ৮ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গুরুতর অসুস্থ বিএনপি'র চেয়ারপারসন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী, মাদার অফ ডেমোক্রেসি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশে সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে ব্যাপক গণসমাবেশে পরিণত হয়েছে।
আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ১৪৪ ধারা থাকায় শহরতলীর নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলি বাজারে সমাবেশ করছে বিএনপি।
কেন্দ্রীয় নেতারা দুপুরে সেইখানে উপস্থিত হয়েছেন। বিরাশার লালপুর সড়কের মধ্যেখানে এই সমাবেশটি হচ্ছে।
সমাবেশে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুমিন ফারহানা, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বক্তব্য রেখেছেন।
শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে আজ দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্যে বিদেশ যাওয়ার দাবিতে সমাবেশ করার পূর্ব ঘোষণা দেয়। এরপর একইস্থানে ছাত্রলীগ পাল্টা কর্মসূচি দিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হায়াত উদ দৌলা খান সমাবেশ ভেন্যুসহ সারা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। আজ ভোর ৫টা থেকে ৫ শতাধিক পুলিশ শহরের ৫০টি স্পটে অবস্থান নেয়। এদিকে ১৪৪ ধারার কারণে শহরের ভেতর থেকে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আজ বেলা পৌনে একটার দিকে তাঁর পথ রোধ করে আশুগঞ্জ উপজেলার উজান ভাটি হোটেলে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ।
রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে ভৈরব টোল প্লাজায় তাঁকে এক ঘণ্টা আটকে রাখে পুলিশ। অনেক কথা-কাটাকাটির পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু (ভৈরব-আশুগঞ্জ সড়ক সেতু) দিয়ে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার দিকে রওনা হন। পরে আশুগঞ্জে সেতুর ওপরই পুলিশ আবার তাঁকে আটক করে। মূলত পুলিশ তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেতে দিচ্ছে না।
অন্যদিকে বিএনপির অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের ভৈরবে জান্নাত হোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ রয়েছে পুলিশ বিরুদ্ধে।