'ফেলানী এবং সীমান্ত’ এর উপর আলোচনা সভা
বিনা ভোটের অগণতান্ত্রিক সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ৬ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন এর উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.০০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাগর-রুনি হলে “ফেলানী এবং সীমান্ত’’ এর উপর একটি আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি কে.এম রকিবুল ইসলাম রিপন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সার্বভৌমত্ব ছাড়া কোন দেশকে স্বাধীন বলা যায় না। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আজ বিলীন। ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ফেলানী। এ সরকার আজ পর্যন্ত ফেলানী ও তাঁর পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার এনে দিতে পারেনি। নতজানু, বিনাভোটের সরকার পুলিশ দিয়ে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে আছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে দিয়েছে। আমেরিকা এই সরকারের আজ্ঞাবহ ৮ জনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিদেশে পালিয়েও মুরাদের মতো মন্ত্রীকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। সরকারের উচিত এই অবস্থায় দ্রুত পদত্যাগ করা। ভারত তার আধিপত্যবাদী আচরণ আজো বাংলাদেশের উপর বজায় রেখেছে। বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার সীমান্ত সুরক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের আন্দোলনে রাজপথে নামতে হবে।
বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভারতীয় নৃশংসতার বিষয়ে কথা বলতে বলতে অনেক বছর হয়ে গিয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন গ্রহণযোগ্য সমাধান আসেনি। এক দিক দিয়ে আমরা কথা বলে যাই, অন্য দিক দিয়ে তারা সীমান্তে মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখে। গত ৭ই জানুয়ারী, ২০১১ সালে ফেলানী নামের ১৫ বছরের একটি বালিকা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে তার বাবার সাথে ভারত থেকে বাড়ি ফিরে আসার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার লাশ ঘন্টার পর ঘন্টা কাঁটাতারের বেড়ার উপরে ঝুলে ছিল। আমরা বলি শুধু ফেলানীর লাশ নয়, সেই সাথে আমাদের সার্বভৌমত্বও ঝুলে ছিল কাঁটাতারের বেড়ার উপরে। আমাদের সার্বভৌমত্ব এখনও ঝুলন্ত রয়েছে। কারণ তার মৃত্যুর পর তার পিতা-মাতা আজ পর্যন্ত ফেলানী হত্যার সুবিচার পায়নি।
চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে জেল দেয়া হয়েছে। জামিন দেয়া হয়নি। ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত। কোন দেশের কাছে নতজানু থেকে দেশের উন্নয়নের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ভারত আমাদের শোষণ করছে। সীমান্ত হত্যার মধ্য দিয়ে তারা আমাদের উপর এক ধরণের নির্যাতন চালাচ্ছে। মায়ানমার করছে ইয়াবা রপ্তানী। এভাবে আমাদের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্তে যত গুলি করেছে তার একভাগ ও বাংলাদেশ করেনি। কিন্তু বাংলাদেশ প্রচুর অস্ত্র ক্রয় করেছে; অথচ সরকার এই অস্ত্র ব্যবহার করছে স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের উপর।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জনাব হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম সহ অন্যান্য তরুণ নেতৃবৃন্দ।