সরকার এখন যে আলোচনা করছে, সেটি আগামি নির্বাচনের ভোট চুরির আলোচনা - আমির খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ৫ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:২২ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন. বর্তমানে দেশ এমন এক প্রেক্ষাপটে উপনীত হয়েছে যেখানে কোন গণতন্ত্র নেই। সরকার ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে এখনো পরিপূর্ণ মুক্তি দেননি। তিনি এখন মারাত্মক অসুস্থ। সংবিধানে যেখানে সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, সেখানে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করেছে সরকার।
আজ বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিন জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
পূর্বনিরাধার্ত মানববন্ধন কর্মসূচি বিকাল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তারই আগে প্রেসক্লাব চত্তর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরই মধ্যে পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর লাঠি চার্জ করলেও নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করে মানবন্ধন কর্মসূচি চলতে থাকে। একপর্যায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি সমাবেশে পরিণত হয়।
আমীর খসরু বলন,সরকার এখন যে আলোচনা করছে সেটি আগামী নির্বাচনের ভোট ডাকাতির আলোচনা।এই আলোচনা প্রহসনের,এই আলোচনা জনগন মানেনা।
তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে বর্তমানে কঠিন প্রেক্ষাপট মোকাবেলা করতে হচ্ছে,সামনের সময়গুলো যে কতো কঠিন হবে তা অনুধাবন করা যায়। তবে এটা শুধু বিএনপির সমস্যা নয়। দেশের মানুষের সমস্যা। দেশের গণতন্ত্র মুক্তির সংগ্রামে বিএনপির নেতৃত্বে জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী থেকে আজ পর্যন্ত দেশের মানুষ এই দিন টিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস মনে করে। এ অবস্থা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়, আমরাও দেশের মাবুষের মুক্তির কথা বলছি। আজকের এই জনসমুদ্র তার প্রমান। সবাই কে এই সরকারের বিরোধে ঐক্যবোধ হয়ে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন'র সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর'র পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল্ ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সি.যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মিয়া ভোলা, এডঃ আবদুস সাত্তার,এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান, সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, কমিশনার মাহবুবুল আলম, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধু রাসেল, আবুল হাশেম হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলি মুর্তোজা খান, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহীন, থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডেপটি, হাজী হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের রাসেল, ডা. নুরুল আফসার, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, এম আই চৌধুরী মামুন, মোঃ আজম, আবুল্লাহ আল হারুন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জকির হোসেন, সাহাব উদ্দিন, মনির আহমদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন জিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, মঈনউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, নূর হোসেন, আবদুল কাদের জসিম, হাজী বাদশা মিয়া, হাবিবুর রহমানসহ প্রমূখ।