সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা রানা ও রনজন সহ ৪ জন গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৩ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় জেলা বিএনপির দুই নেতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
আজ শনিবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির পার্টি অফিস সংলগ্ন নবদ্বীপপুল, ধানবান্ধি ও কালিবাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা (৫৬), সহ-সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রঞ্জন (৫২), যুবদল কর্মী হাবিবুল বাশার ইমন (৩৫) ও রেজাউল করিম (৫০)।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, সিরাজগঞ্জ শহরের টুকুব্রিজ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। সমাবেশে যেতে নেতাকর্মীদের বাঁধা দিলে শহরের টুকুব্রিজ-১ এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। এই সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার রাতে জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের ৭০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভির মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সংগ্রামী সভাপতি রুমানা মাহমুদ এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রনজন, বিএনপি কর্মী হাবিবুল বাশার ইমন ও রেজাউল করিমকে গ্রেফতারেরতীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
তারা বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ভন্ডুল করার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করলো, অথচ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা করে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের পিস্তলধারীদের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হলেও তাদের নামে মামলাও হয় নি, গ্রেফতারও করা হচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, যেন অবিলম্বে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। নইলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা যদি দলীয় কর্মচারীর ভূমিকা পালন করে তবে প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা পরিপূর্ণভাবে ধ্বংশ হয়ে যাবে। যা গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের জন্য মোটেই শুভ হবে না। জেল, জুলুম, মামলা দিয়ে গণজোয়ার থামানো যায় না।