১০টা মার্ডারও করা লাগে তাই করবেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
‘মাইর খেয়ে আসা যাবে না, মাইর দিয়ে আসতে হবে। তার জন্য যদি ১০টা মার্ডারও করা লাগে তাই করবেন। আমি বাকিটা দেখবো ইনশাল্লাহ।’
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৩ নম্বর জোয়াগ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর উঠান বৈঠকে এভাবেই বক্তব্য দিয়েছেন তার ছেলে মিজানুর রহমান খান।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জোয়াগ ইউনিয়নের পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের এক উঠান বৈঠকে তার এমন বক্তব্যের ভিডিওটি রাত ১০টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় তার বাবা আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়ালও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
নিজের কর্মী বাহিনীকে উস্কানি দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমি ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, যদি আমার লোকদের এক ফোটা রক্ত ঝড়ে, আপনি দশ ফোটা রক্ত নিয়ে আসবেন, বাকিটা আমি দেখবো ইনশাল্লাহ। ছাড় দেয়া যাবে না, এক চুল পরিমাণও ছাড় দিব না। মিজান কি জিনিস এখনও জোয়াগের অনেক মানুষ জানে না। জানা উচিত, যখন নমিনেশন নিয়ে আসছি তখন থেকেই জানা উচিত।’
মিজানের উস্কানি ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হুমকি স্বরূপ বক্তব্যকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না জোয়াগ ইউনিয়নসহ চান্দিনার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর কমেন্টে ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নেটিজেনরা।
এ ব্যাপারে মিজানের সাথে কথা বলা সম্ভব না হলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী তার বাবা আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘এসব কথা কে কখন বলেছে আমি শুনি নাই। আর আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।’
জোয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সওদাগর জানান, আমি অসুস্থ, বাড়িতেই আছি। ভিডিওটি আমিও দেখেছি কিন্তু বিস্তারিত জানি না। আর মিজান আওয়ামী লীগের কেউ না। তার বাবা আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখিনি। যদি এমন বক্তব্য কেউ দিয়ে থাকে তাহলে আইন অমান্য করেছে ও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’