গুরুদাসপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪২ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল বারীর (ঘোড়া) ও মোস্তাফিজুর রহমানের (নৌকা) নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিছিন্নভাবে অফিস দুইপক্ষের চারটি অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সতন্ত্র প্রার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮ থেকে ১১ টার মধ্যে মশিন্দা ইউপির ৬, ৯ ও ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিছিন্নভাবে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা এসব অফিস ভাংচুর করেন।
সতন্ত্র প্রার্থীর সর্মথক হৃদয় হাসানসহ অন্তত ১০ জন জানান, নৌকার নির্বাচনী শোডাউন নিয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রানীগ্রামের সতন্ত্র প্রার্থীর অফিসের কাছে অবস্থান করেন। এসময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা সতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেন। এসময় ঘোড়া প্রতিকের পোস্টারও ছেঁড়া হয়।
সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রজিম উদ্দিন জানান, রানীগ্রামের অফিস ভাংচুরের পর রাত প্রায় ১১ টার দিকে পশ্চিম চরপাড়ায় আরো একটি অফিসের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এসময় সতন্ত্র প্রার্র্থীর সমর্থক হাফিজুলকে মারধোর করেন নৌকার সমর্থকরা।
সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল বারী অভিযোগ করেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈষান্বিত হয়ে নৌকার সমর্থকরা অফিস ভাংচুর করেছেন। এঘটনায় তিনি উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার দুটি নির্বাচনী অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকার সমর্থক আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে বাহাদুর পাড়ার নৌকার নির্বাচনী অফিসে অতর্কীত হামলা চালান। এসময় ঝুলন্ত একটি নৌকা নামানোর পর পাশপাশি দুটি অফিসে নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়।
নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত জেনেই সতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার অফিসের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। আবার নিজেদের অফিস নিজেরাই ভেঙ্গে তাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনাটি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম বলেন, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের দলীয় ও সতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।