কোরবানির বর্জ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা মেয়র আতিকের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ১২ জুন,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:৪২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ঈদের দিন ৬ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা উত্তরের বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেইসঙ্গে নগরীর সড়কে পশুর হাট বসালে জামানত বাজেয়াপ্তের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর গাবতলী ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজার সংলগ্ন মাঠে ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাকের সংযোজন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বহরে করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ডিএনসিসির বহরে একটি আধুনিক ভ্রাম্যমাণ টয়লেট যুক্ত হয়েছে। এই ট্রাকগুলোর মাধ্যমে করপোরেশন প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রায় ৩৫০ টন বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই যানবাহন যুক্ত করার মাধ্যমে ডিএনসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রমাণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে সিটি করপোরেশনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।
মেয়র বলেন, গত বছর সবার চেষ্টায় উত্তর সিটি করপোরেশন ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এবার আমাদের টার্গেট ৬ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসরণ করা। ৪০টি ট্রাক যুক্ত হওয়ায় এই বছর বর্জ্য অপসারণে আরও গতি বাড়বে। যে ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হলো এগুলো সাধারণ ট্রাকের চেয়ে দশগুণ বেশি বর্জ্য অপসারণে সক্ষম। কম্প্যাক্ট করার মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক বর্জ্য বহন করতে পারবে এই ট্রাকগুলো।
তিনি বলেন, ঈদে বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজ করবে। ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন, টুকরি, ফিনাইল দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা ও ডিএনসিসির কর্মীরা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। আমি নিজে মাঠে থাকব। জনগণকে অনুরোধ করছি যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিবেন। গতবারের মতো জনগণের সহযোগিতা পেলে নির্ধারিত ৬ ঘন্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করব।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, হাটের নিয়ম ভেঙে সড়কে কেউ হাট বসালে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়ম ভাঙলে ১০ শতাংশ সিকিউরিটি মানি রাখা হয়েছে সেটি বাজেয়াপ্ত করে দিব। অন্যান্য বছর দেখেছি ইজারাদার হাটের বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণ করে না। তাই এবছর আমরা পরিচ্ছন্ন ফি কেটে রেখেছি, সিটি করপোরশনের কর্মীরাই যথাসময়ে কোরবানির হাটের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলবে।