রাজধানীতে বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ২৭ মে,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:৩৩ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে ঢাকাতেও। গতরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে রাজধানীতে। কখনো মুষলধারে আবার কখনো ঝিরঝির করে পড়ছে বৃষ্টি। এতে রাজধানীর অনেক সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কর্মদিবসে এমন বৃষ্টি আর জলাবদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষদের সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয়। তারপরেও মানুষ বৃষ্টি বিড়ম্বনার মধ্যেই ভিজে অফিসে যান।
বৃষ্টির কারণে রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকার প্রধান সড়কে পানি জমেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কটি দিয়ে চলাচল করা মানুষ। এছাড়া নিউমার্কেটসহ রাজধানীর আরও অনেক সড়কে জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে।
রাত থেকে পড়া বৃষ্টিতে মিরপুরের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় জমে থাকা পানি সরাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। বিশেষ করে কাজীপাড়ার মেট্রোরেলের নিচে এই মুহুর্তে পানি জমেছে। সেই পানি বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মিরপুর ৬০ ফিট সড়কের পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঈসমাইল মোল্লা বলেন, আমার এলাকায় জলাবদ্ধতা না থাকলেও শুধু মিরপুর ৬০ ফিট সড়কে একটু আছে। সেই রাস্তার কাজ হবে। সেটি ভালো করা হবে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহন অনেক কম দেখা গেছে। সকালে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে অনেকেই রাস্তায় বাস পাননি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চালকেরা বৃষ্টির কারণে বাড়তি ভাড়া চেয়েছেন।
কোনো কোনো এলাকায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা থাকায় অটোরিকশা চালকেরা যেতে রাজি হননি। অনেকে গণপরিবহনের অপেক্ষায় থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ভিজে গেছেন।
মুগদা থেকে সকাল নয়টায় বের হয়েছিলেন নুর আলম। গুলশান-১ নম্বরে যাওয়ার জন্য সকাল সোয়া ১০টায় রাইদা বাস থেকে লিংক রোডে নামেন। কিন্তু আসতে দেরি হওয়ায় একটি ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন।
নুর আলম জানান, তার অফিস সময় সকাল ১০টায়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে লিংক রোডে এসে আটকা পড়েছেন। অবশ্য কিছু সময় পরই বৈশাখী বাসে উঠে গন্তব্যে যান তিনি।
গুলশানে যাওয়ার জন্য একই বাসে ওঠেন হেনা আক্তার। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি হয়ে একদিক ভালো হচ্ছে। কৃষক ফসল ফলাইতে পারছে না। সার-বিদ্যুতের দাম বেশি। তাছাড়া কয়েকদিন ধরে যে গরম এই বৃষ্টি আর্শিবাদ হয়ে এসেছে। এর পাশাপাশি বৃষ্টি ভোগান্তিও এনেছে ঢাকাবাসীর জন্য। তারপরেও বৃষ্টি স্বস্তিই দিয়েছে।’