ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১৬ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:৫৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আইন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়েছিল। এরপর প্রায় ছয় বছর পরে গতকাল বুধবার আবার অনুষ্ঠিত হলো উপদেষ্টা পরিষদের সভা। যদিও এই সভাটি চার মাস পর পর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গতকালের সভা থেকে সাতটি বিষয়ে আলোচনা ও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিষয়গুলো হলো হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল না দেওয়া, ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল নিষিদ্ধ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ করা, ৩০ জুনের মধ্যে বাস সুন্দর করা, ডাম্পিং ইয়ার্ডের জন্য জমির ব্যবস্থা, হিউম্যান হলার (লেগুনা) ও ইজি বাইক বন্ধ করা এবং থ্রি হুইলার নীতিমালা ও স্ক্র্যাপ নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন।
সভা শেষে কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মোটরসাইকেলে দুই যাত্রীর হেলমেট ব্যবহার করাতে যে কৌশল করেছি, এভাবে সারা বাংলাদেশে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ নীতি কার্যকরে ব্যবস্থা নিতে পারলে সুফল আসবে। তা ছাড়া ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না।
এ ছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজি বাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সারা দেশে মোটরসাইকেল, ইজি বাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাই ফিটনেসবিহীন গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে স্ক্র্যাপ করা হবে।
সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, বিআরটিএতে লোকবল দরকার, তবে আপাতত নেওয়া সম্ভব না। বাসের ফিটনেসসহ বাসের রং সুন্দর করার জন্য পরিবহন মালিকদের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান সভার কার্যবিবরণী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘মাতুয়াইল ভাগাড়ে ৮১ একর জমি রয়েছে। সেখানে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করে থাকি, এর পাশেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গায় ডামিপং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরের মধ্যে যেভাবে লেগুনা, ইজি বাইক চলছে এগুলো আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। এগুলো অচিরেই বন্ধ করা উচিত।’
সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়িকে স্ক্র্যাপ করা হোক। তাহলে অন্য মালিকরা সতর্ক হবেন।
সভায় বেশির ভাগ অংশীজন ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধের বিষয়ে মত দিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক ও তিন চাকার যান নিয়ন্ত্রণের কথাও জানিয়েছেন। উপদেষ্টা পরিষদের এই সভায় সরকারি-বেসরকারি সেক্টরের অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।