ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:৩৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাসাবাড়ি সব কিছু পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না।’
‘তবে ডেঙ্গু না হোক; সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়, সেটা আপনারা ভালো করে জানেন’, যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন,
বাসাবাড়ি সব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে অসুখ হলে তখন চিকিৎসা করতে হয়। তাই কারও যাতে ডেঙ্গু না হয়, সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে ঢালাওভাবে বলতে চাই না যে আমি কি করেছি। আপনারা নিজেরাই বলবেন যে আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি। ঈদের সময়ে আমি যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।’
‘মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গাপূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপরে উৎসবে যেতাম,’ যোগ করেন তিনি।
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ওই চিন্তা করে এবারও সেই ধারা বজায় রেখেছি। আগে আমি একটা হাসপাতালে যেতাম, এবার অনেকগুলো হাসপাতালে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের ঠিক মতো কাজ করতে উৎসাহ দেয়া। এ ছাড়া সব কিছু ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, তাও দেখতে গিয়েছি।’
তিনি বলেন,
"আমি এবার না বলেই গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলেনি। আমি গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসকরা ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।"
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে ছুটিতে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমি নিজে অনুভব করেছি। আমি যখন বার্নে কাজ করতাম রাতে একটা মেয়ে না খেয়ে কাজ করেছেন। সব হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকতো। ইচ্ছা করে এবার খাবারের অর্ডার করেছি, যাতে ভালোভাবে তারা ঈদটা করতে পারেন।’