সংকটের সুযোগে বাজারে জাল ডলার-রুপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:১৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বর্তমান সংকটের সুযোগে ডলার ও রুপির জাল নোট তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে একটি চক্র। অনেকেই কম দামে এসব জাল মুদ্রা কিনে হচ্ছেন প্রতারিত। জাল রুপি ও ডলার তৈরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব কথা জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতাররা হলেন- উজ্জল দাস ওরফে সোবহান শিকদার (৩৪), আব্দুর রশিদ (৫৫), মমিনুল ইসলাম (৪৬) ও শাহ মো. তুহিন আহমেদ ওরফে জামাল (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকা মূল্যের জাল টাকা, ভারতীয় রুপি ও আমেরিকান ডলার, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও জালনোট তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।
ডিবি জানায়, রমজানকে সামনে রেখে প্রায় ২০০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি জালনোট বাজারে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল চক্রটি। এ অবস্থায় সবাইকে ব্যাংক অথবা অনুমোদিত জায়গা থেকে ডলার কেনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি দারুসসালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালনোট ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুতকারক চক্রের মূল হোতা উজ্জল দাসকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দারুসসালামের একটি বাসা থেকে বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রটি মতিঝিল এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ, নয়াবাজার ও মিটফোর্ড থেকে রঙ, ফয়েল সংগ্রহ করে বিভিন্ন দেশের জালনোট ও স্ট্যাম্প তৈরি করে আসছিল। বর্তমানে ডলার সংকট হওয়ায় তারা ভারতীয় জাল রুপি ও আমেরিকান জাল ডলার তৈরি করে বিদেশেও পাচার করছিল। তাদের সারাদেশে এজেন্ট রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি টাকার জালনোট ১০ লাখে, এরপর ২০ লাখ ও প্রান্তিক ধাপে ৫০ লাখে বিক্রি করতেন। এজেন্টদের চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো পরিমাণের জালনোট প্রস্তুত করে দিতেন তারা। বাংলাদেশি টাকার ক্ষেত্রে তারা কম মূল্যমানের নোট যেমন- ১০০ ও ২০০ টাকার নোটও জাল করছিলেন। যা প্রায় খালি চোখে ধরা অসম্ভব।
তিনি বলেন, তাদের কাছে যে পরিমাণ জাল টাকা তৈরির কাগজ ও অন্যান্য উপকরণ পাওয়া গেছে তা দিয়ে আগামী রমজান ও ঈদুল ফিতরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার জাল নোট ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প বাজারে ছাড়তে পারতো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সস্তায় পেয়ে বাইরে থেকে ডলার কিনে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। এর দায় যে কিনবে তারই, কারণ ডলার কেনা উচিত ব্যাংক অথবা অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ থেকে।