কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী ২ দিনের কর্মবিরতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৯ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৫৮ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন দুই দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রণীত কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এর মৌলিক অধিকার পরিপন্থি কিছু ধারা/উপ-ধারা, নিবর্তনমূলক আইন ও বিভিন্ন বিধান বাতিলের দাবিতে এ কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়।
আজ রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. সুলতান হোসেন খান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১৬ জারির পর ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বারবার প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য অনুরোধ জানানো হলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। এরপর কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ প্রণয়নের সময় ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হলেও তা গুরুত্ব না দিয়েই বিধি জারি করা হয়েছিল। দেশের সব সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ায় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লাইসেন্সিং রুলের কয়েকটি বিধি ও উপবিধি সংশোধনীর প্রস্তাব দেয়া হলেও বাজেট প্রস্তাবনায় কোনো সংশোধনী আনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ফেডারেশনের উত্থাপিত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকে। এক পর্যায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত বছরের ২৮ জুলাই ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথ সভার আহ্বান করে। সভায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত দাবি-দাওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয় এবং লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রস্তাবনা মোতাবেক বিধিমালা সংশোধন করা হবে বলে ফেডারেশনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সুলতান হোসেন খান বলেন, সারা দেশে কর্মরত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ফেডারেশনের নেতাদের দাবি আদায়ের জন্য জরুরিভাবে গত ২১ জানুয়ারি একটি সভা করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজস্ব বোর্ডের কাছে দেয়া বিধি-বিধানগুলো সংশোধন করা না হলে আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এ পরিস্থিতির জন্য ফেডারেশন দায়ী থাকবে না। কিন্তু অদ্যাবধি কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। তাই আমরা আগামী দুই দিন কর্মবিরতি পালন করতে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান, সহ-সভাপতি শেখ মো. রেহমান (লাভলু), অর্থ সচিব এ কে এম আকতার হোসেন, বন্দর বিষয়ক সচিব মো. খায়রুল বাশার প্রমুখ।