বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে : বুলু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ১৩ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, ‘বিদ্যুতের যে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। প্রত্যাহার করা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব এবং বিদ্যুতের বিল বন্ধ করে দেব। বিদ্যুৎ বিল দেব না।’
আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে বুলু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভোটচোরদের আর দেখতে চায় না। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। এ কারণে মামলা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ দেখতে চায় একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কোনো তাঁবেদার রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দেখতে চায় না। কারও অধীনে বাংলাদেশ দেখতে চায় না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে এই সরকার। এই অবৈধ সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। আজকে আপনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। বাঘের পিঠ থেকে নামতে হলে একটি রাস্তা আছে। সেই রাস্তা হলো খালেদা জিয়ার সঙ্গে আপনি যে বেয়াদবি করেছেন, অন্যায় করেছেন, তার জন্য মাফ চেয়ে, বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করুন।’
‘পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করুন।’
বুলু বলেন, ‘আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে, যুক্তরাজ্য থেকে, জাতিসংঘ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ভোটের অধিকার নেই। বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচতে হলে তাদের ভোটের অধিকার দিতে হবে, ডিজিটাল কালাকানুন আইন প্রত্যাহার করতে হবে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে যে আন্দোলন হচ্ছে, এটা জনতার আন্দোলন। মানুষ বাঁচতে চায়। এটা বিএনপির আন্দোলন নয়, এটা ১৮ কোটি জনতার আন্দোলন। সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবে এবং বাংলাদেশে একটি নতুন সূর্য উদিত হবে।
আগামী দিনে আমরা যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে, তারা যতই ক্ষুদ্র দল হোক না কেন, তাদের সকলকে নিয়েই একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এই জাতীয় সরকার রাষ্ট্র মেরামত করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধশালী স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই।
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমানের (ভিপি ইব্রাহিম) সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, গণতন্ত্র ফোরামের তারেক মুন্সি, জাহাঙ্গীর আলম, ইসমাইল হোসেন খোকন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, সুজন, আমিনুর রহমান, হারুন অর রশিদ, আবদুল্লাহ আল নাঈম, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।