গত এক দশকে কর্মক্ষেত্রে নিহত ৯৫৫৮ শ্রমিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
গত এক দশকে (২০১৩-২০২২) কর্মক্ষেত্রে ৯ হাজার ৫৫৮ শ্রমিক নিহত এবং ৫ হাজার ৭০১ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশন। প্রতি বছরের মতো ২০২২ সালেও তারা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালক (অ্যাডমিন) মো. আলম হোসাইনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প সমন্বয়ক এমএম কবীর মামুন। উপস্থিত ছিলেন—ওশি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক চায়না রহমান, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আসাদ উদ্দিন, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ইশরাত জাহান, এমআইএস অফিসার মো. সোহেল শেখ, মনিটরিং অফিসার মো. নূর আলম, কেস ম্যানেজমেন্ট অফিসার নুসরাত জাহান প্রমুখ।
লিখিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওশি ফাউন্ডেশনের পরিবীক্ষণের আওতায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্ঘটনার খবর সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এ সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সারা দেশে বিভিন্ন সেক্টরে দুর্ঘটনায় মোট ১ হাজার ১৯৫ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে ২৪৬ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৯৪৯ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছেন। ২০২১ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১ হাজার ৮৯ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছিলেন।
২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে যে ১ হাজার ১৯৫ জন শ্রমজীবী মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে নিহত ৯৬৭ জন এবং আহত ২২৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে মারা গেছেন ১৫২ জন এবং আহত হয়েছেন ৯৪ জন। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মারা গেছেন ৮১৫ জন এবং আহত হয়েছেন ১৩৪ জন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে যে ৯৬৭ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে নারী শ্রমিক ২৪ জন এবং পুরুষ ৯৪৩ জন। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে যে ২২৮ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে নারী শ্রমিক ২৮ জন এবং পুরুষ ১৯০ জন।
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানিক খাতে যে ৯৬৭ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন পরিবহন খাতে। এই খাতে হতাহতের সংখ্যা ৪৭৬। তাদের মধ্যে ৪২৫ জন নিহত এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন।
হতাহতের দিক দিয়ে পরিবহন খাতের পরেই আছে সেবা খাত। এই খাতে মোট ২৭০ জন শ্রমিক হতাহতের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১১ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫৯ জন আহত হয়েছেন।
সেবা খাতের পর আছে কৃষি খাত। এ খাতে মোট ১৩৯ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এর পরের অবস্থানে আছে নির্মাণ খাত। এ বছর নির্মাণ খাতে ১৩৪ জন শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০৫ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে হতাহত হয়েছেন ১০০ জন। তাদের মধ্যে ৬৭ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
এ বছর তৈরি পোশাক শিল্প খাতে মোট ৫৪ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৮ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। জাহাজ ভাঙা শিল্পে হতাহত হয়েছেন ২২ জন। তাদের মধ্যে নিহত ৭ জন এবং আহত ১৫ জন।