ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি মুলতবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৬ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে ২০২০ সালের অক্টোবরে লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন ঢাকার এক আদালত। ইরফানের আইনজীবী প্রাণনাথ শুনানি মুলতবি চেয়ে আবেদন করলে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (ভারপ্রাপ্ত) তোফাজ্জল হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আবেদনে আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল ইরফান বর্তমানে জামিনে থাকায় স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। তাই গতকাল তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। আসামিদের মধ্যে ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা এখন কারাগারে এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমান ও মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দিপু এখন জামিনে আছেন। ইরফানের আরেক সহযোগী মো. রিপন মিয়া এখনো পলাতক। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মমিনুল হক।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬ নম্বর প্লেটের একটি এসইউভি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার মোটরসাইকেলটিকে পিছনের দিকে ধাক্কা দেয়। সেই সময় ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী নীলক্ষেত থেকে তাদের ঢাকা সেনানিবাসের বাড়িতে ফিরছিলেন। ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে।
এই ঘটনার পর এসইউভি থেকে একজন বেরিয়ে এসে তাদের গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়িটি থামলে অফিসার ওয়াসিফ গাড়ির জানালায় টোকা দেন এবং নিজের পরিচয় দেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তখন গাড়ির আরোহীরা বেরিয়ে এসে তাকে গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করতে শুরু করেন। তার স্ত্রী তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারা তাকেও লাঞ্ছিত করেন এবং গাড়িটি ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজনের মোবাইলে ধারণ করা ঘটনার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরের দিন রাজধানীর চকবাজার এলাকার দেবীদাস ঘাট লেনে হাজি সেলিমের বাড়িতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব কর্মকর্তারা অভিযান চালান এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ রাখার দায়ে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুলকে ১ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। পরে ইরফানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়। গত বছরের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র ও মাদক মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে চকবাজার থানাপুলিশ। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ মামলায় ইরফানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে পুলিশ প্রমাণ পায়নি। তবে ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক কে এম এমরুল কায়েশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ইরফানকে অস্ত্র ও মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।