৩ দিনের ছুটি : কমলাপুরে হাজারো টিকিট প্রত্যাশীর ভিড়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৫ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আগামী ২৩-২৫ ডিসেম্বর টানা তিন দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। আর তাই নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে নগরবাসীর যেন মনে তর সইছে না। সে কারণে বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট কিনতে ঠান্ডার মধ্যে ভোর থেকে কমলাপুর স্টেশনে ভিড় করেছেন হাজার হাজার মানুষ। আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বর (রবিবার) বড়দিনের ছুটি। ফলে টানা তিন দিন ছুটি মিলছে। আর তাই মন চলেছে বাড়ির পথে।
আজ রবিবার সকালে দেশের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুর ঘুরে দেখা গেছে, হাজারও মানুষ ট্রেনের টিকিটের জন্য ভিড় করেছেন টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে। কেউ দুটি আবার কেউ চারটি টিকিট কিনতে পেরে স্বর্গসুখ লাভ করেছেন। তাদের একটাই কথা, সারা বছর কাজের মধ্যেই এই শহরে ডুবে থাকি। শীতের পিঠাপুলি খাওয়ার সময় কোথায়? তাই তিন দিনের ছুটি যেন সৌভাগ্য। রেল স্টেশনে কথা হয় লালমনিরহাটগামী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢাকায় তিন জনের সংসার, বাকি সব পড়ে আছে লালমনিরহাটে। একটু ছুটি পেলেই দাদা-দাদুর কাছে যেতে চায় আমার মেয়েটা। সামনে তিন দিনের ছুটি আছে। তাই বৃহস্পতিবার রাতের লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি টিকিট কষ্ট করে কিনেছি। সকাল ৬টায় এসেছিলাম টিকিটের জন্য। টিকিট পেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগল। রাজশাহীগামী রাশেদুল হাসান বলেন, রাজশাহী সদরের নিজ বাড়িতে যাব পরিবার নিয়ে। ২২ তারিখ রাতের পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি টিকিট নিতে এসেছিলাম। আশঙ্কা করেছিলাম ভিড় হবে, স্টেশনে এসে তাই দেখলাম।
তিনি আরও বলেন, সারা বছর তো ঢাকায় কাজের মধ্যেই ডুবে থাকি। সেই কবে থেকে মা ডাকছেন শীতের পিঠাপুলি খাওয়াবেন বলে। সামনে তিন দিনের ছুটি, এরচেয়ে আর বড় সুযোগ হয় না। তাই কষ্ট হলেও শীতের সকালে এসেছিলাম টিকিট কিনতে। এখন সরাসরি অফিসে যাব। অন্যদিকে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েছেন অনেকে। এদের মধ্যে দিনাজপুরগামী আশিকুর রহমান বলেন, আমার সামনে ১০ জন থাকতেই টিকিট শেষ বলে জানিয়ে দিল কাউন্টার মাস্টার। আমি দ্রুতযান এক্সপ্রেসের দুটি টিকিটের জন্য এসেছিলাম। চোখের সামনে টিকিট শেষ হতে দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। সবই ভাগ্য। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন,গতকাল প্রচুর ভিড় হয়েছে। সকাল থেকে টিকিট থাকা পর্যন্ত সবাই টিকিট পেয়েছে। আমাদের নিয়মিত টিকিটের জন্য সবসময় চাপ থাকে। তার মধ্যেগতকাল বেশি চাপ পড়েছে। উত্তরবঙ্গের ট্রেনের চাপ বেশি পড়েছে। স্টেশনেগতকাল তিন থেকে চার হাজারের বেশি মানুষ এসেছিল।