নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে আ.লীগকে ক্ষমতায় বসানো : নুরুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নূরুল হক বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচন হতে দেব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসানো। কোনো সুস্থ গণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার মানুষ এই ধরনের নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নুরুল হক।
নুরুল হক বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে ৪২টি দল যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে একমত হয়েছে।’
বিজয়ের ৫১ বছরেও গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও বিচারব্যবস্থা এখনো স্বাধীন হয়নি দাবি করে নূরুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার আগেও আমাদের যেই ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের মর্যাদার জন্য লড়াই করতে হয়েছে, আজকেও সেই একই লড়াই করতে হচ্ছে। ৫১ বছরে আমাদের অর্জন, শুধুই একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও বিচারব্যবস্থা আমরা এখনো পাইনি।’
রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অত্যাচার–নির্যাতনের বিষয়ে সমালোচনা করে নুরুল হক বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পার করা একটি স্বাধীন দেশে যেভাবে বিরোধী মতকে দমন করা হচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্র যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করছে, পাকিস্তান আমলেও এটা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লেখ আছে, বঙ্গবন্ধুকে সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিকেলে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজকে একটা দলের শীর্ষ নেতা, মহাসচিবসহ অসংখ্য নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে নুরুল হক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে যুদ্ধংদেহী অবস্থা তৈরি হয়েছে এ জন্য সরকার দায়ী। সরকার পরিকল্পিতভাবে তাদের ‘সেফ এক্সিটের’ জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য দেশকে একটি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তৃতীয় পক্ষ ক্ষমতায় আসলে কিন্তু কেউই লাভবান হবে না। এ জন্য সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে, বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে যেন একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নুরুল হকের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।