গণতন্ত্রের জন্য সকলের রাস্তায় নেমে যাওয়া উচিত : ড. কামাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ১৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:২৩ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
গণতন্ত্রের জন্য সবাইকে রাস্তায় নামার পরামর্শ দিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। একইসঙ্গে মানুষকে মৌলিক অধিকার নিয়ে সচেতন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সংবিধানের ৫০ বছর ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণফোরাম।
ড. কামাল হোসেন বলেন, রাষ্ট্রের নাগরিকদের বঞ্চিত করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। দেশে গণতন্ত্র থাকবে না। গণতন্ত্র না থাকলে দেশে অসাধারণ ক্ষতি হবে। গণতন্ত্রের জন্য সবাইকে রাস্তায় নেমে যাওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বিষয়ে ঘরে ঘরে আলোচনা হওয়া উচিত এবং সকলের নেমে (রাস্তায়) যাওয়া উচিত। যাতে করে মানুষ সচেতন হয়। আমরা যদি মনে করি বসে থাকলে অধিকার ভোগ করবো, এটা খুব ভুল কথা।
মানুষকে মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, সরকার চায় না মানুষ মৌলিক অধিকারের বিষয় সচেতন হোক। এ ব্যাপারে তারা চেপে ধরে থাকে। এ জন্য বিষয়টি প্রচার মাধ্যমে আনতে হবে, স্কুল কলেজে মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
নিজ দলের নেতাকর্মীসহ সরকার বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সবসময় সক্রিয়ভাবে জনগণের পাশে থাকতে হবে। সব সময় কাজে লেগে থাকা দরকার। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হওয়া দরকার। স্কুল -কলেজে ছাত্রছাত্রীদের এ বিষয়ে জানানো দরকার। আমরা যদি কাজে লেগে না থাকি তাহলে অধিকার থেকে বঞ্চিত হব।
তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক এটা আমরা সংবিধানে দেখি। এটা শুধু কথার কথা না। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের মালিক হতে হয়, তখন আমরা যদি অধিকারের ব্যাপারে সচেতন না হই, সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ না করতে থাকি, তাহলে সত্যিকার অর্থেই আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো।
তিনি বলেন, আমরা যেমন এখানে সভা করছি, এটা জেলায় জেলায় করা। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করা। তরুণ সমাজ, সক্রিয়ভাবে মাঠে নামানো।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বলতে পারি, মৌলিক অধিকার মোটামুটি বিধান বেশি রয়েছে। আগামী ৫০ বছরে যেন, মানুষ যাতে বলতে পারে, এটাকে আমরা ভোগ করছি না। কার্যকর ভাবে ভোগ করছি।
আগামী নির্বাচন নিয়ে একসময় বিএনপি'র সঙ্গে জোটবাঁধা এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণ তাদের অধিকার প্রয়োগ করে। কাজেই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। টাকা-পয়সা ও প্রভাব ব্যবহার করে জনগণকে যদি আমরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করি, নির্বাচন পদ্ধতিকে যদি আমরা ধ্বংস করি তাহলে তখন দেশের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।