বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না চীন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৮ পিএম, ৫ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৩ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীন কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। দেশটি আশা করছে, বাংলাদেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।
আজ শনিবার (০৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে এ কথা বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।
অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না চীন। উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার। এতে করে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি অব্যাহত থাকে বলে মনে করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
লি জিমিং বলেন, চীন বাংলাদেশের কৌশলগত বন্ধু। বাংলাদেশকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত চীন। শুধু ভোট দেয়াটাই গণতন্ত্র নয়। আমরাও গণতন্ত্র চর্চা করি।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরাম। সেমিনারে সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ চাইলে তিস্তা প্রকল্পে আগ্রহী চীন : বাংলাদেশ সরকার চাইলে চীন তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে আগ্রহী বলে জানিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের ওপর তৃতীয় দেশের চাপ আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
লি জিমিং বলেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা গ্রহণ করেছি। এখন এটা নিয়ে সমীক্ষা চলছে। বাংলাদেশ চাইলে চীন তিস্তা প্রকল্প করবে। চীন সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছাই তিস্তা সংকট সমাধানে করতে পারে। যদি বাংলাদেশ সরকার এটি করতে চায়, চীন এটি বাস্তবায়ন করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে পানি সমস্যা সমাধানে তিস্তা প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বুঝতে পারি তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের ওপর বাইরের চাপ আছে। কেননা এই প্রকল্প ভূ-রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর। পানি ব্যবস্থাপনায় চীনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ছোট পাইলট প্রকল্প করা যেতে পারে বলেও জানান লি জিমিং।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে আগ্রহী চীন। এই যুদ্ধের ফলে এশিয়ানরাও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কেননা, দ্রব্যমূল্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। তবে চীন কোনো যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়।