‘উৎকোচ নেয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে রাজউক’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৯ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) একটি উৎকোচ (ঘুষ) নেওয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের (কল্যাণপুর, পাইকপাড়া) কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি) সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘অংশীজন সম্মেলনে’ তিনি এ অভিযোগ করেন। গত ২৩ আগস্ট পাস হওয়া ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) নিয়ে নিজেদের মূল্যায়ন ও প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্মেলনটির আয়োজন করেছিল আইএবি।
সম্মেলনে দেওয়ান আবদুল মান্নান বলেন, ঢাকা মহানগরের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) নিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তামাশা করছে। আগে যেখানে আটতলা বাড়ি করা যেত, বর্তমান ড্যাপ অনুযায়ী সেখানে চারতলা বাড়ি করা যাবে। এতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে।
রাজউকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আবদুল মান্নান বলেন, প্রস্তাবিত ৩০ ফুট রাস্তার জন্য সবাই জায়গা ছেড়ে রেখেছে। কিন্তু একজন জায়গা না ছেড়েই বাড়ি করেছে, রাজউককে একাধিকবার বিষয়টি জানানোর পরও কেউ আসেনি।
তিনি বলেন, মিরপুরের পাইকপাড়ায় সরু গলির পাশে যেভাবে উঁচু ভবন তৈরি করা হয়েছে, সেখানে গলি থেকে আকাশ দেখা যায় না। ৮ থেকে ১০ ফুট সড়কের পাশের ১০ তলা বাড়ি করা হয়েছে। এখন ড্যাপ নয়, রাজউককে পরিবর্তনের সময় এসেছে।
অংশীজন সম্মেলনে আইএবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি পাস হওয়া ড্যাপে যে পরিমাণ ‘ফ্লোর এরিয়া রেশিও বা এফএআরের (যার মাধ্যমে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন নির্ধারিত হয়) মান নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে বাড্ডা ও শংকর এলাকায় ১০ কাঠার প্লটে ভবনের উচ্চতা আগের তুলনায় তিনতলা এবং গুলশান এলাকায় দুই তলা কমে যাবে। একই ভাবে অন্যান্য এলাকাতেও ভবনের উচ্চতা কমবে।
আইএবির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ড্যাপ অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা কমালে ঢাকায় যে সংখ্যক মানুষ থাকবে, তাতে সেসব মানুষের জন্যই বাসস্থান নিশ্চিত করা যাবে না। ঢাকা শহর থেকে মানুষ বের করে দিতে হবে।
এফএআর নির্ধারণের ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হয়েছে উল্লেখ করে সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এলাকায় এফএআর বেশি দেয়া হয়েছে। আর স্বতঃস্ফূর্ত গড়ে ওঠা এলাকায় এফএআর কম দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়। এমন অবস্থায় দ্রুত এফএআর সংশোধনের দাবি জানিয়েছে আইএবি। আইএবির সভাপতি মোবাশ্বের হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্থপতি ইকবাল হাবিব। এ সময় আইএবির সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ফারহানা শারমীনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।