নির্বাচনের কাঠামো নির্ধারণ করতে রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন : সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ২০ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কী প্রক্রিয়ায় হবে তা ঠিক করতে রাজনৈতিক সমঝোতার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক সমঝোতা দরকার। কোনো দল বা কেউ এককভাবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। রাজনৈতিক সমঝোতার পর সিদ্ধান্ত আসতে পারে যে, কী কাঠামোতে নির্বাচন হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এ ১৭টি সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে।
আজ শনিবার (২০ আগস্ট) কমিশন প্রস্তাবিত সংশোধনী প্রসঙ্গে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার লক্ষ্যে নাগরিক সংগঠন ‘সুজন, সুশাসনের জন্য নাগরিক’-এর উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সুজন সহ-সভাপতি বিচারপতি আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনটিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজন স¤পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সুজন সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, সুজন-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, আকবর হোসেন, ফারুক মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন গত ২০ জুলাই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)-এর ১৭টি ধারা সংশোধনের লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবনা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে। এগুলোর মধ্যে তিনটি প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি এবং এগুলোর দুটি নিয়ে আমরা কিছুটা বিভ্রান্ত ও উদ্বিগ্ন। আমরা আরও উদ্বিগ্ন যে, কমিশনের প্রস্তাবগুলো অসম্পূর্ণ এবং এতে আরও অনেকগুলো বিষয় যুক্ত হওয়া আবশ্যক।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বর্পর্ণ প্রস্তাবগুলোর একটি হলো রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা (ধারা ৯০-বি), যা আমরা সমর্থন করি। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি হলো মনোনয়োনপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের টিন সার্টিফিকেট ও আয়কর প্রদানের প্রত্যয়নপত্র প্রদান (ধারা ১২-তে সংযুক্তি)। বর্তমানে আরপিওর ৪৪ক(২) ধারায় আয়কর রিটার্ন প্রদানের বিধান রয়েছে। তাই আরপিওর ১২ ধারায় শুধু আয়কর রিটার্নেও প্রত্যয়নপত্র সম্পর্কিত নতুন বিধান যুক্ত করা ফলে ভুল বোঝাবুঝির আশংকা সৃষ্টি হতে পারে- কোনো কোনো প্রার্থী মনে করতে পারেন যে, তাদেরকে আর আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে না এবং যা জমা দিতে ও প্রকাশ করতে সংগত কারণে অনীহা রয়েছে। তাই সম্ভাব্য ভুল বোঝাবুঝির অবসানের লক্ষ্যে আরপিওর ধারা ১২-তেই আয়কর দেয়ার বিধান সংযুক্ত করাই যুক্তিযুক্ত ছিল বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, আইন মন্ত্রণায়ের জন্য প্রেরিত নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবনায় তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো কোনো ব্যক্তি বলপূর্বক নির্বাচনি কর্মকর্তাদের স্বাভাবিক নির্বাচনি কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করলে প্রিসাইডিং অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দিষ্ট কেন্দ্র এমনকি পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোট গ্রহণ বন্ধ করার ক্ষমতা প্রদান (ধারা ২৫এ-তে সংযুক্তি)। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের কারণে ভোট চলাকালে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে প্রতীয়মান হলে নির্বাচন কমিশনকে তদন্তসাপেক্ষে পুরো নির্বাচনি এলাকার নির্বাচনি ফলাফলে গেজেট প্রকাশ ঘোষণা স্থগিত, নির্বাচনি ফলাফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা প্রদান। এই প্রস্তাব নিয়ে আমরা কিছুটা বিভ্রান্ত, কারণ নির্বাচন ও গেজেট প্রকাশ স্থগিত ও পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা বর্তমানে কমিশনের ইতিমধ্যেই রয়েছে এবং কমিশন তা ব্যবহারও করে আসছে। আমাদের উদ্বেবেগর কারণটি হলো সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন যেন তার ব্যপ্তি স¤পর্কে অবগত নয় বা উপলব্ধি করতে পারছে না।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমিশনের ধারণা যে, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ভোটে অনিয়ম হলে তা বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলেও ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার ফল ঘোষণার পর কমিশনের আর কিছু করার থাকে না। তাই নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণ মিললে ভোটের ফল ঘোষণা হলেও তা গেজেট আকারে প্রকাশের আগ পর্যন্ত সেই ফল বাতিলের এবং পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা চাওয়া হয়েছে (আমাদের সময়, ৯ আগস্ট ২০২২)। আমাদের আশংকা যে, আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা চাওয়া ইতিবাচক মনে হলেও এ ধরনের ক্ষমতা চাওয়ার ফল স¤পূর্ণ উল্টোও হতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে যে, নূর হোসেন বনাম নজরুল ইসলাম মামলার রায় আইনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন, তবুও এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হওয়াটা আত্মঘাতীমূলক হতে পারেÑ মন্ত্রণালয় কমিশনের প্রেরিত প্রস্তাবটি নাকচ করে দিতে পারে। উদ্বেগ এ কারণেই।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে, আরপিও সংশোধনের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রেরিত নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবনাটি অসম্পূর্ণ। এর একটি কারণ হলো যে, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের সংলাপকালে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় না নেয়ার অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অর্থবহ করার ক্ষেত্রে আরও কিছু প্রস্তাব এতে যুক্ত করা প্রয়োজন। এমন বিধানের মধ্যে অন্যতম হতে পারে: ১. আরপিওতে ‘না-ভোট’ পুনঃপ্রবর্তন; ২. হলফনামার ছকে পরিবর্তন আনা এবং হলফনামায় নতুন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা; ৩. হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপনকারীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের সুস্পষ্ট বিধান আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন; ৪. হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করার বিধান আরপিওতে সংযুক্ত করা আবশ্যক; ৫. প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব যাচাই-বাছাই করার বাধ্যবাধকতা আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি; ৬. নির্বাচনি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থী ও ভোটারদের নিয়ে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় একটি ‘জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান’ আয়োজন এবং হলফনামার তথ্য ছাপিয়ে তা ভোটারদের মাঝে বিলি করার বিধান আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক; ৭. সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা ও আয়কর বিবরণী দাখিল করার বিধান আরপিওতে যুক্ত করা জরুরি; ৮. রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক সদস্যদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও নিয়মিত আপডেট করার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন; ৯. নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া রাজনৈতিক দলের অডিট করা হিসাব যাচাই-বাছাই করার বিধান আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার; ১০. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
এ লক্ষ্যে পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে; ১১. সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি বিরোধ নিষ্পত্তি হয় হাইকোর্ট বিভাগে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাক্ষী, কাগজপত্র, ব্যালটবক্স হাইকোর্টে হাজির করা অবাস্তব ও ব্যয়সাপেক্ষ। এতে বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়। তাই এ লক্ষ্যে বিকল্প কাঠামো চিন্তা করা আবশ্যক এবং তা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক। একটি বিকল্প হতে পারে জেলা জজদের ওপর এ দায়িত্ব ন্যস্ত করা এবং উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রাখা; ১২. রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে দায়েকৃত আপিল নিষ্পত্তি করার সময়সীমা বর্তমানের তিনদিনের পরিবর্তে এক সপ্তাহ করার বিধান আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনকে যে চারটি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সুষ্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। এটি আরপিওর বিষয় নয়। তাই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমেই এটি কার্যকর করতে হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বর্তমানে সব চেয়ে বড় বাধা বিদ্যমান বিধি-বিধানের পরিপূর্ণ প্রয়োগ না হওয়া। তাই বিদ্যমান বিধি-বিধানগুলো প্রয়োগের দিকে কমিশনের নজর দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: ১. আরপিওর ৯০খ(খ)(ই) ধারা অনুযায়ী নিবন্ধিত দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের বিদেশি শাখা থাকা থাকা বেআইনি। কিন্তু প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দল এই বিধান অমান্য করছে। তাই আরপিওর এই বিধান কঠোরভাবে প্রয়োগের উদ্যোগ নেয়া জরুরি; ২. হলফনামা অনলাইনে জমাদানের যে পরিপত্র রয়েছে তা প্রয়োগের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক। এতে প্রার্থীদের জন্য বিনা বাধায় হলফনামা জমাদান সম্ভব হবে এবং হলফনামার তথ্য দ্রুততার সঙ্গে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেয়াও সম্ভব হবে; ৩. তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান বাধ্যতামূলক করা আবশ্যক; ৪. ‘বিরুদ্ধ হলফনামা’ বা কাউন্টার এফিডেভিট প্রদানের বিধান কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানো আবশ্যক।
প্রবন্ধের শেষভাগে তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচন কমিশনের অতুলনীয় ক্ষমতা রয়েছে। আর আমাদের সাংবিধানিক কাঠামোতে নির্বাচন মানেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাই যেনতেন প্রকারের বা কারচুপির নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামো নিঃসন্দেহে একটি পর্বতপ্রমাণ বাধা। তাই এই বাধা দূর করতে কমিশনকে এখনই সুস্পষ্টভাবে সরকারকে বলতে হবে, যাতে নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে এবং কমিশন তার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ম্যান্ডেট সফলতার সঙ্গে পালন করতে পারে।
সুজন-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না, নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এছাড়া দেশের বিপুল একটা অংশ দেশের বাইরে থাকেন। তারাও ভোট দিতে পারেন না। বিশ্বব্যাপী পোস্টাল ব্যালটের বিধান আছে। আমি মনে করি, প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুযোগ করে দেয়া উচিত। আরেকটি বিষয় হলো, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করার দায়িত্ব কমিশনের সাংবিধানিক ম্যান্ডেটের মধ্যে না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কমিশন এই দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাই স্থানীয় সরকার অনুষ্ঠানের দায়িত্ব কমিশনের ম্যান্ডেটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া উচিত।
সুজন-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধানের ১১১নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রায় মানা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট যেটা বলেছেন সেটা ইতিমধ্যেই আইনে পরিণত হয়েছে। তাই কোর্টের রায়ে কমিশনকে নির্বাচন বাতিলে ক্ষমতা দেয়া হলেও তা আবার আইন সংশোধন করে সংযুক্ত করতে চাওয়ার উদ্দেশ্য কী তা প্রশ্নের উদ্রেক করে। তবে রায়ের বিষয়টি যারা অবগত নন, তাদের অবগত করার জন্য অনেক সময় আইনে রায় সংযুক্ত করা হয়। কমিশনের সংশোধনী প্রস্তাব আনার প্রক্রিয়াটিও আমার কাছে স্বচ্ছ মনে হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের সংলাপে যেসব প্রস্তাাব এসেছে সেগুলোর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশ করে অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে এই সংশোধনী প্রস্তাাব করা উচিত ছিল।
বিচারপতি আবদুল মতিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ে নির্বাচন বাতিলে কমিশনের ইনহেরেন্ট বা অন্তর্নিহিত ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে, তারপরও কমিশনের এই ক্ষমতা আবার চাওয়াটা সন্দেহের উদ্রেক করে বলে আমি মনে করি।