রায়েরবাজার থেকে সাংবাদিক তুলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ১৩ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৪১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের সাবেক সিনিয়র সাব-এডিটর সোহানা তুলির (৩৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর রায়েরবাজারে ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙে হাজারীবাগ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ বলছে— গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহানার লাশ পাওয়া গেছে। এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তদন্তের আগে বিস্তারিত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, বুধবার সকালে নন্দীতা তাবাসসুম নামে এক বান্ধবী তাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। ফোনে সাড়া না পেয়ে তিনি হাজারীবাগে তুলির বাসায় আসেন। দরজা নক করে সাড়া না পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। বাসায় ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সবাইকে খবর দেন। পুলিশ এসে বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল রায়ের বাজারের শেরেবাংলা নগর রোডের ২৯৯/৫ বাসার দ্বিতীয় তলা। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত জব্দের কাজ শুরু করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সোহানা শেরেবাংলা সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। তার ছোট ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি হাজারীবাগ এলাকাতেই বন্ধুদের সঙ্গে থাকেন। তবে কখনও কখনও তিনি বোনের বাসাতে এসে থাকতেন।
সোহানা তুলির ছোট ভাই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল যশোর থেকে ঢাকায় এসে এক বন্ধুর বাসায় উঠি। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে আপুর সঙ্গে কথা হয়েছিল। বুধবার সকালে উঠে খিলক্ষেতে যাই। সেখানে তিনটার দিকে আব্বু ফোন করে ঘটনা জানান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহানা তুলি সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন।
তুলির বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। ২০১৮ সাল থেকে তিনি রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন তুলি। তিনি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। সোহানা তুলি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। সাব-এডিটর কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।