বর্জ্য পরিষ্কার না করলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : মেয়র আতিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ৯ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ইজারাদারকে তাদের দায়িত্বে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাদের জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে।
আজ শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল বলেন, ডিএনসিসিতে ১০টি পশুর হাটেই বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। হাটগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
মেয়র বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ ও সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো ডিএনসিসির ছয়টি হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ বসানো হয়েছে। বুথগুলোতে কোনো চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা লেনদেন করা যাবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে নগদ টাকা বহন করতে হবে না।
হাটগুলোতে পশুর চিকিৎসার জন্য একটি করে মেডিকেল টিম রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে মেডিকেল টিমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পশুর চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, পশুর হাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মশার সংখ্যা বেড়ে গেছে। হাট চলাকালীন মশার ওষুধ ছিটানো যাচ্ছে না কারণ এতে পশুর ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। হাটের কার্যক্রম শেষ হলে এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার সকল প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ১০ হাজার কর্মী কাজ করবে। ৬০০ যানবাহন, পচনশীল পলিব্যাগ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাওডার ও স্যাভলন রয়েছে। সবার সহযোগিতায় কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে।
এ সময় মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস.এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলররা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।