আমদানি নির্ভর জ্বালানি নীতির কারণে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র : জাতীয় কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ৮ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৫ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সারাদেশে লোডশেডিংসহ বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। কমিটির সভায় বলা হয়েছে, স্বনির্ভর,পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতির বদলে আমদানি নির্ভর জ্বালানি নীতির কারণে এ সংকট তীব্র হয়েছে।
সভায় আরও বলা হয়, দেশে গ্যাস সম্পদ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থাকলেও কমিশনভোগী এবং কিছু গোষ্ঠীকে লাভবান করতে জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করা হয়েছে । প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা, জনগণের করের টাকা ভর্তুকির নামে অপচয় করেও সংকট এড়ানো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আবারও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টা চলছে । এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকায় মুক্তি ভবনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় কমিটির সংগঠক, সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এম এম আকাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য জাতীয় কমিটির সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, জোনায়েদ সাকী, নজরুল ইসলাম, ডা. হারুন অর রশীদ, আকবর খান, মাসুদ রানা, বিধান দাস, মফিজুর রহমান লালটু, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বাচ্চু ভূইয়া, তৈমুর খান অপু, অনুপ কুণ্ডু, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, সাদেক খান, রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও বলা হয়, 'দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ,উত্তোলন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, শিল্প, কৃষিসহ ঘরে ঘরে সুলভে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ দিতে জাতীয় কমিটির খসড়া প্রস্তাব এবং দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে আমদানি নির্ভরতায় আজ যে সংকট তৈরি করা হয়েছে, তার দায় সাধারন জনগণ নেবে না। এ দায় সরকারকেই নিতে হবে।'
সভায় জ্বালানি খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশ, জ্বালানি অপরাধীদের চিহ্নিত করা ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে জনজীবন, কৃষি শিল্প উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সব বিলাসী কার্যক্রম বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয় সভায়।
এ ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে দেশের স্থল ও সমুদ্র ভাগের গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং গ্যাসক্ষেত্র থেকে যথাযথভাবে গ্যাস উত্তোলন, চুরি, অপচয় বন্ধের আহ্বান জানানো হয় ।
সভায় বলা হয়, বর্তমান সংকটকে সামনে রেখে নানা মহল বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হীন স্বার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাবে। এ বিষয়ে সতর্ক থেকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দাবি এবং অপ্রয়োজনীয় ,ক্ষতিকর প্রকল্প বন্ধের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
২১ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ: জাতীয় কমিটির সভায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সংকটের জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে আগামী ২১ জুলাই দেশব্যপী বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ওই দিন ঢাকাসহ সব জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।