৩৭ হাজার দফতরি-কাম প্রহরীর ৫ দফা দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ৩০ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫২ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৩৭ হাজার দফতরি-কাম প্রহরীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও অবিলম্বে আইনানুযায়ী কর্মঘণ্টা নির্ধারণসহ ৫ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দফতরি-কাম প্রহরীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. নাছির উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্ট পদে নিয়োগের পর থেকে আমরা সততা ও কর্তব্যপরাণয়তার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও আমরা ন্যায্য বেতন ভাতা পাই না। তার মধ্যে আবার বিভিন্ন উপজেলায় বেতন বিভিন্ন ধরনের। কোনো উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা আবার কোথাও ১৬ হাজার ১৩০ টাকা করে বেতন পাচ্ছে। আবার কোনো উপজেলায় উৎসব ভাতা পাচ্ছে, কোথাও পাচ্ছে না। অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে আমাদের দিনে দাফতরিক কাজ ও রাতে প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পালন করতে গিয়ে আমরা সন্তান ও পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি। স্বাধীন বাংলাদেশে এটা কোনো ধরনের পরাধীনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. মিজানুর রহমান জানান, দফতরি-কাম প্রহরীরা নানাভাবে সমস্যায় জর্জরিত। দফতরি- কাম প্রহরীদের ডিউটি সার্বক্ষণিক বলতে স্কুল টাইম- এমন কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র সম্পর্ণ ভিন্ন। মাঠ পর্যায়ে আমাদের দিয়ে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করানো হয়।
মাঝে মাঝে দফতরি ও প্রহরীর কাজের পাশাপাশি ক্লাস নিতে হয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘন্টা ডিউটি করে একজন মানুষের জীবন চলতে পারে না। পাশাপাশি সরকারের মধ্যে একশ্রেণির সুবিধাভোগী আমলারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে গড়িমসি করছে। তাই দফতরি-কাম প্রহরীদের ন্যায্য দাবিগুলো অনতিবিলম্বে কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
৫ দফা দাবি : বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দফতরি-কাম প্রহরীদের দিক থেকে যে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. দফতরি-কাম প্রহরী পদটি জাতীয়করণ করতে হবে।
২. আইন অনুযায়ী কর্মঘন্টা নির্ধারণ ও কাজের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৩. উৎসব ভাতা পুনর্বহাল ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে।
৪. বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি ও মৃত্যুবরণ করা দফতরি-কাম প্রহরীদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দফতরি-কাম প্রহরী সাধন কান্ত বাড়ৈ, মামুন সরদার, মো. নাছির উদ্দিন মোল্লা, মিজানুর রহমান মিজান, আনিসুর রহমান, মজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, মো. রিয়াজ শেখ, আসাদুল ইসলাম, জুয়েল মল্লিক, মো. সোহান, মো. মামুন শেখ, আব্দুর রহমান প্রমুখ।