ইসি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে, এটা ভালো লক্ষণ নয় : সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ১৩ জুন,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নির্বাচন কমিশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে, এটা ভালো লক্ষণ নয় বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, অসহায়ত্ব প্রকাশ না করে নির্বাচন কমিশনকে আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। ইসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।
আজ সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করে সুজন। অনুষ্ঠানে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা ভালো লক্ষণ নয়। ইসি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। কমিশন যখন তাদের আইন-কানুন-বিধি প্রয়োগ করতে পারছে না, তখন নাগরিকেরা খুব আশাবাদী হতে পারে না। এখানে সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। ইসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সরকারি সুবিধাভোগী কেউ কারও পক্ষে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন-এমন প্রতীয়মান হলে ইসি প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য ইসি প্রয়োজনে বিধিবিধান যুক্ত করতে পারে। মানুষের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা আছে। নাগরিকের প্রত্যাশা নির্বাচনে ইসি সাহসিকতা দেখাবে। বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচন কমিশনের কথা মানছেন না। জাতীয় নির্বাচনে যদি পুরো প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি দল, বিরোধী দলসহ অন্যরা নির্বাচন কমিশনের আদেশ অমান্য করার চেষ্টা করে, তাহলে নাগরিকেরা কোথায় যাবে!
প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলুন। অর্থ বা অন্যকিছুর বিনিময়ে ভোট ক্রয় থেকে বিরত থাকুন। ভোটার বা অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন বা কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকুন। নির্বাচনকে প্রতিযোগিতা হিসেবে গ্রহণ করুন এবং যেকোনো ধরনের ফলাফল স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিন।
ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে অথবা অন্ধ আবেগের বশবর্তী হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, যুদ্ধাপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, ঋণখেলাপী, বিলখেলাপি, সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি, ভূমিদস্যু, কালোটাকার মালিক অর্থাৎ কোনো অসৎ, অযোগ্য ও গণবিরোধী ব্যক্তিকে ভোট দেবেন না।