‘দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত নয়’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ১০ জুন,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুর।
তিনি বলেছেন, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিয়ে সরকার সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল রাখতে চায়। ভর্তুকি দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান নয়, তবে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার প্রয়োজনে তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত নয়। তবে এ মুহূর্তে বড় ধরনের কোনো আশঙ্কা নেই।
আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁও এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হোসেন মনসুর বলেন, আমার সময়ে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের অবৈধ গ্যাসের লাইন বন্ধ করতে গিয়ে একজন জেনারেল ম্যানেজার মার খেয়েছিলেন। পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৈধ করার সুযোগ দিলে দেখা যাবে- দেশে প্রায় পাঁচ লাখ অবৈধ সংযোগ বৈধ করার আবেদন করবে। জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হলে তেল-গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া, সিস্টেম লস হ্রাস করা এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য ঊর্ধ্বগতির ফলে ভর্তুকি কমানোর লক্ষ্যে সরকার তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। দেশে মাসে প্রায় ছয় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চুরি হচ্ছে। যার আমদানি মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। গ্যাস চুরির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ কমানো গেলেও স্পট মার্কেট থেকে এত টাকা দিয়ে এলএনজি কিনতে হতো না। চুরিকৃত এই গ্যাসের দায় সিস্টেম লসের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের উৎপাদন, বণ্টন ও সঞ্চালনে সুশাসন তৈরি করা গেলে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রয়োজন হতো না। দেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ছায়া সংসদের বিষয় ছিল- ‘বর্তমান বাস্তবতায় তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি যৌক্তিক।’ ছায়া সংসদে মক স্পিকার হিসেবে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক সবুজ ইউনুস, সাংবাদিক ফজলে রাব্বি ও সাংবাদিক মোজাহেরুল হক রুমেন। প্রতিযোগিতায় সমান নম্বর পেয়ে যৌথভাবে বিজয়ী হয় ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ ও ঢাকার সরকারি বাঙলা কলেজ। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।