মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই : পিটার হাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ৩১ মে,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫০ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন পলিসির মূল বিষয় হচ্ছে বৈশ্বিকভাবে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ পিলার। এসব ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো আপস নেই বলে সাফ জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এর ফ্লাগশিপ প্রোগ্রাম ডিকাব টকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
নির্বাচন, মানবাধিকার, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও নতুন অর্থনৈতিক জোট নিয়েও সেখানে খোলামেলা কথা বলেন তিনি। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য এই বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের প্রতিটি অপারেশনে মানবাধিকার সমুন্নত রাখার তাগিদ দেন তিনি।
বাংলাদেশে নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হয়ে গেছে এমন মন্তব্য করে মার্কিন দূত বলেন, নির্বাচনটি অবশ্যই সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বাংলাদেশের জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জনগণ, সরকার, মিডিয়া সকলে মিলেই নির্বাচনের আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করতে হবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ভয়ভীতিহীন সাংবাদিকতা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকে। বিগত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভাল কোনো বন্ধু বাংলাদেশের ছিল না, আগামী ৫০ বছরেও হবে না এমন মন্তব্য করে মার্কিন দূত বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৫০ বছরে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে কাজ করে যাবে, যেভাবে গত ৫০ বছর কাজ করে গেছে।
র্যাবের ওপর অভিযোগের সুরাহায় সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ও বাহিনীটিকে জবাবদিহিতায় আনা ছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
তিনি বলেন, আমরা র্যাবকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কার্যকর বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই। তবে তাদের মৌলিক মানবাধিকারও মেনে চলতে হবে।
রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, আগামী ২রা জুন ওয়াশিংটনে দুইপক্ষের মধ্যে অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠান হবে। সেখানে শ্রম অধিকার গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পাওয়া এবং উন্নয়ন বিষয়ক তহবিল থেকে আর্থিক সুবিধা পেতে হলে পূর্ণাঙ্গ শ্রম অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে বরাবরের মতো উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন দূত। বলেন, এ উদ্বেগ নিরসনে পাবলিকলি এবং প্রাইভেটলি আমরা কথাবার্তা চালিয়ে যাবো। ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন, ডিকাব সদস্য এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।