নিউ মার্কেটে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর : ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা হয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সটির মালিক মোঃ সুজন মামলাটি করেছেন।
গতকাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকার সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পাঁচটি মামলা করা হলো।
ওসি বলেন, শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষের সময় মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সটির মালিক মোঃ সুজন ১৫০ থেকে ২০০ অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। পাঁচ মামলায় অজ্ঞাত মোট সাড়ে ১৭০০’র বেশি আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ দুটি, নিহতের পরিবার দুটি এবং সর্বশেষ অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হলো।
গত ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টায় শুরু হয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ। আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষের পরদিন মঙ্গলবার দিনভর নিউ মার্কেট এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। ওই দিন, মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে থেকে দেখা যায়, একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা কলেজের দিক থেকে নিউমার্কেটের দিকে আসছিল। নিউমার্কেটের ওভারব্রিজের কাছাকাছি এলে অ্যাম্বুলেন্সটি থামান সেখানে উপস্থিত দোকানি ও ব্যবসায়ীরা। সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে মিলে লোহার রড দিয়ে প্রথমে সামনে, পরে চারপাশের কাচে আঘাত করতে থাকেন।
সে সময় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে রোগী ছিল। চালক বারবার অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু, কেউ কথা শুনছিলেন না। তবে, দুই যুবক পরে থামানোর চেষ্টা করেন। যদিও ততক্ষণে গাড়িটির চারপাশ ভেঙে একাকার।
ওই দিন দুপুরে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে অ্যাম্বুলেন্সের চালক জাহাঙ্গীর আলম এক অভিযোগে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে ছাত্ররা আটকায়। গাড়িতে রোগী দেখে তারা যেতে দেয়। কিন্তু, মার্কেটের সামনে গেলেই অতর্কিত আমার গাড়িতে হামলা করে দোকানদাররা। আমাকেও আহত করে।’
রোগী কোথায় জানতে চাইলে সেসময় চালক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি কোনো রকম রোগীকে মেডিক্যালে রেখে চলে এসেছি।’
ওসি শ ম কাইয়ুম বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা দোষী, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’