নিউমার্কেটে দোকানপাট বন্ধ, যান চলাচল স্বাভাবিক,
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২০ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৩ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আজ ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে নিউমার্কেট এলাকার বিপনিবিতান ও দোকানপাট খোলেনি। তবে ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান করছেন। দোকানপাট খোলার অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।
এদিকে ঢাকা কলেজের ফটক বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সড়কে নামেনি। ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান করছেন। নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকার সড়কে যানচলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।
আজ সকাল থেকেই ওই এলাকায় নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত ও ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির ভিড় বেড়েছে।
এদিকে দোকান খোলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেছেন দোকান মালিক সমিতির নেতারা।
নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহীন আহমেদ জানান, রাতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। উনাকে বলেছি, আমাদের তো অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে ঈদের সময়, যা হয়েছে হয়েছে, এখন আজ (বুধবার) থেকে দোকান খুলতে চাই।
মন্ত্রী বলেছেন, আজ তিনি শিক্ষামন্ত্রীসহ সবার সাথে কথা বলবেন। এখানে অনেক ছাত্র আছে, দোকান কর্মচারী আছে, আবার যাতে কোনো সংঘর্ষ না বাঁধে, সব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে আমরা আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। উনি অনুমতি দিলে দোকান খুলব।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, আমি উনাদের বলেছি ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। সাত কলেজের ছাত্ররা নাকি ঢাকা অচল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নুরুল হক নূররাও ওদের সাথে শামিল। ইডেনের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামার কথা বলেছে বুঝে হোক আর না বুঝে হোক। পরিস্থিতি যাতে আর ঘোলা না হয়, সেজন্য আমি বলেছিল ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে পরিস্থিতি দেখে তারপর দোকান খুলতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত অনুকূলে, যদি এরকম থাকে, সব দেখে আমরা খুলে দেব।
গত সোমবার রাতে নিউমার্কেটের একটি ফাস্টফুডের দোকানে খাবারের দাম নিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও দোকান কর্মচারীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর রাতভর সংঘর্ষের রেশ চলে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত। দফায় দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত নাহিদ হোসেন (২০) নামের এক পথচারী গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সংঘর্ষে সাংবাদিক সহ আহত হন কয়েক শতাধিক। সংঘর্ষের জেরে গতকাল মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর প্রভাবে পুরো ঢাকা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।