মোটরসাইকেল কিনতে প্রেমিকাকে অপহরণের পর ৩ লাখ টাকা দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ৮ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০১ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। একটি মোটরসাইকেল কেনার ইচ্ছা খন্দকার সাকিব সাদমানের, কিন্তু টাকা জোগাড় হচ্ছিল না। এসব নিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করেন সাদমান। একপর্যায়ে বন্ধুদের প্ররোচনায় নিজের প্রেমিকাকে অপহরণ করেন। অপহরণ করে প্রেমিকার বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অন্যথায় তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেন সাদমান।
গত ২৭ মার্চ রাজধানীর মুগদা এলাকায় ওই তরুণীকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ২৮ মার্চ মেয়েটির মামা বাদী হয়ে মুগদা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার দিনই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ মুগদার কাঠেরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সে সময় অপহরণকারী সাদমানকেও গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, মেয়েটির বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সাদমান। তাকে উদ্ধারের পর এই অপহরণ কান্ডের বিস্তারিত জানায় ডিবি।
ডিবি জানায়, মেয়েটিকে ফোন করে দেখা করতে বলেছিলেন সাদমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটি রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে বেরিয়ে তার কথিত প্রেমিক সাদমানের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর সাদমান কৌশলে মেয়েটিকে রাজধানীর মুগদা কাঠেরপুল এলাকার একটি বাসায় নিয়ে জিম্মি করেন। পরে মেয়েটির মোবাইল নম্বর থেকে তার বাবাকে কল দিয়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সাদমান।
আজ শুক্রবার দুপুরে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আশরাফ উল্লাহ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, একটি মোটরসাইকেল কেনাসহ কিছু ধারের টাকা পরিশোধ করতে মেয়েটিকে অপহরণ করেন সাদমানসহ তিন বন্ধু। সাদমানকে গ্রেফতারের পর এই অপহরণ কান্ডে জড়িত তার দুই বন্ধুর নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদমান জানান, তিনি ‘এ’ লেবেল পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে তিনি পড়ালেখা ছেড়ে দেন। একপর্যায়ে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বন্ধুদের প্ররোচনাতেই তিনি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ডিবি জানায়, মেয়েটির বাবাকে ফোন করে সাদমান বলেছিলেন, তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। দাবি অনুযায়ী টাকা দিলে তার মেয়েকে জীবিত ফেরত দেয়ার হবে। টাকা না দিয়ে পুলিশকে জানালে মেয়েকে মেরে ফেলা হবে।