ছেলে হত্যার বিচার চাইলেন বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ৮ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড অ্যান্ড প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান পলাশ হত্যার বিচার দাবি করেছে তার পরিবার।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন নিহত পলাশের বাবা আব্দুস সাত্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালি থানার ডেপুটি রেজিস্ট্রারের ব্লু মুন স্টুডেন্ট হাউসের দ্বিতীয় তলার ২০২ নম্বর রুমে থাকত। গত ১৮ মার্চ আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় মিজানুরের বন্ধু জানায় যে, ওর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় ডিসকানেক্ট হয়ে যায় এবং ওর রুমে লোকের উপস্থিতির কথা বলে। তাই ওর বন্ধুরা আমাদের তাড়াতাড়ি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করি, কিন্তু কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারি না। কে যেন ওখান থেকে কল কেটে দেয়। পরে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে একজন ডিবি পরিচয়ে ফোন দিয়ে আমাদের জানায় মিজানুর রহমানের অবস্থা ভালো না, আপনারা সবাই তাড়াতাড়ি চলে আসেন। এই বলে ফোন কেটে দেয় এবং হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে।’
মিজানুরের বাবা বলেন, ‘আমরা সবাই ওখানে গিয়ে দেখি আমার ছেলে হাসপাতালের মর্গে আছে। আমরা ওর হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং বাড়ির মালিকের ভাষ্য- আমার ছেলে সুইসাইড করেছে। রুমের দরজা ভেঙে ওকে বের করা হয়েছে। একটা মানুষ সুইসাইড করলে গলাতে যেভাবে দাগ থাকার কথা, সেটা কিন্তু দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না।’
আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে ছবি সংগ্রহ করে দেখতে পেয়েছি যে ওর এক হাত বাঁধা ছিল এবং পা মেঝের সঙ্গে বাঁকানো ছিল। বাড়ির মালিক এবং প্রক্টর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার যে কথা বলেছিল বাস্তবে দরজা ভাঙার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাইনি। এমনকি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যন্ত আমাদের দেখায়নি। মেসের ছেলেরা এ বিষয়ে কোনো প্রকার কথা বলতে রাজি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা তখন স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি যে, এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমার ছেলেকে মেরে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানাতে মামলা এবং জিডি করতে গেলে থানা মামলা এবং জিডি নেয়নি। তাই আমরা পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে ২৭ মার্চ তারিখে মামলা করেছি। মামলাটির নম্বর সিআর২৬৩/২২।’ সংবাদ সম্মেলনে নিহত পলাশের মা হাছিনা পারভীনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।