ওয়াসা’র এমডির বাসার পানিতেও গন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ৫ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪২ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নিজের বাসার পানিতেও গন্ধ পান বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। তিনি বলেছেন, আমাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গার মধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দেই। তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়াপল্টনে আমার নিজের বাসার পানিতেও গন্ধ আছে। এসময় তিনি নগরবাসীকে পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন।
আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‘নগরবাসীর চাহিদ-ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসার পানির সঙ্গে ডায়রিয়ার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। আইসিডিডিআরবির সঙ্গে আমাদের ঘনঘন যোগাযোগ আছে। তারা ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ১০টি এলাকার ঠিকানা আমাদের দেয়, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওইসব এলাকার পানি ল্যাবে টেস্ট করাই।
সেই ল্যাব টেস্টে আমরা কোনও ব্যাকটেরিয়া পাইনি। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে আইসিডিডিআরবিকে জানিয়েছি।
তাকসিম এ খান বলেন, পানিতে যদি কোনও জীবাণু থাকে, সেটি যাতে মরে যায় বা ধ্বংস হয়ে যায় সেজন্য ক্লোরিন দিয়ে থাকি। অনেক সময় ক্লোরিন পাইপের শেষ মাথা পর্যন্ত যায় না। কিন্তু আমরা ওই বিশেষ স্থানগুলোতে ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি। এই ডায়রিয়ার সঙ্গে আমাদের ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে যা পেয়েছি, তাতে কোনও সম্পৃক্ততা সরাসরি নেই। আর ক্লোরিন মেশানোর কারণে পানিতেও গন্ধ পাওয়া যায় না। এই গন্ধ দূর করতে আমরা আন্ডারগ্রাউন্ড পানি ও আমাদের শোধন করা পানির মিশ্রণ করে সরবরাহ করি।
ওয়াসার এমডি বলেন, পানি খুবই প্রয়োজনীয়। জীবনধারণের অংশ হচ্ছে পানি। পৃথিবীতে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ খাওয়ার পানি থেকে বঞ্চিত। কাজেই আমরা সেই বিলিয়ন মানুষের বাইরে আছি। পৃথিবীতে যদি আবারও কোনো সংঘাত হয়, তাহলে এই সংঘাত পানি নিয়েই হবে। তেল আর গ্যাসের থেকে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় পানি নিয়ে। পৃথিবীর বহু দেশের রাজধানী পানির অভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের এখানে অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ আছে। পানিরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা সমাধান করতে পারছি। সাউথ এশিয়ায় পানির সূচকে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি।
পানির জন্য আগের মতো হাহাকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে চাহিদার তুলনায় আমরা বেশি পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। কাজেই ঢাকা শহরে পানির হাহাকার বা অভাব এখন নেই। আমরা সবাইকে পানি দিতে পারছি। এখন ২৪ ঘণ্টা পানি আছে।
ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) সভাপতি মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সঞ্চালনা করেন ডুরা’র সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিক। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ওয়াসা সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, পরিচালক (কারিগরী) একেএম শহিদ উদ্দিন, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায়, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নিশাত মজুমদার, ডুরা’র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী ভাদুড়ী, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় মামুন প্রমুখ।