দেশে যত উন্নতি হচ্ছে, তত বৈষম্য বাড়ছে : সিরাজুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ১ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, শুধু স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। দেশে যত উন্নতি হচ্ছে, তত বৈষম্য বাড়ছে। গত ৫০ বছরেও দেশের জনগণের প্রকৃত মুক্তি মেলেনি।
আজ শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ‘২০ পেরিয়ে ব্রতী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান উন্নয়নের অন্তরালে রয়েছে আর্তনাদ, বেদনা। এই উন্নতিতে বৈষম্য বাড়ছে। এই করোনা মহামারিতেও ধনীরা আরও ধনী হয়েছে। সুযোগ বঞ্চিত ব্যক্তিদের উন্নতি হচ্ছে না।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের তরুণেরা সবচেয়ে বেশি হতাশ ও বিভ্রান্ত। তরুণেরা বিপদের মধ্যে আছে।
তাদের দেখলে মনে হয়, দেশ জয়ের পরে পরাজিত হয়ে গেছে। যে জয় ১৯৭১ সালে এসেছিল, তা ক্রমাগত জীবন থেকে দূরে সরে গেছে।
তিনি আরো বলেন, এজন্য সামাজিক পরিবর্তন দরকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, জনপ্রতিনিধিদের শাসন ও জবাবদিহি এবং সুযোগের সমতা এই আদর্শকে ধারণ করে জাগরণ হতে হবে। বর্তমানে জবাবদিহির অভাব ভয়ানক হয়ে দেখা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের জনগণের কল্যাণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। বর্তমান সরকারও তা পারেনি, তবে সরকার চেষ্টা করছে। দেশের বহু মানুষ এখনো দিন আনে, দিন খায়। ঘরে পরপর তিন দিনের খাবার আছে, দেশে এমন পরিবার এখনো ৬০ শতাংশ হবে না।
ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ বলেন, ব্রতী জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কথা ঢাকায় পৌঁছায় না। প্রান্তিকপর্যায়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে। এসব পরিবর্তনকে বড় পরিসরে করতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো রওনক জাহান বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) সরকারের প্রতিযোগী নয়। এনজিওগুলো দুর্গম এলাকাতেও কাজ করছে। এনজিও এবং সুশীল সমাজকে সরকার কাজে লাগাতে পারে।