আ.লীগ নেতা ও প্রীতি হত্যার ঘটনায় শুটার আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ২৭ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৫১ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজধানীর মতিঝিলের আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতিকে ফিল্মিস্টাইলে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক শুটারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ রবিবার (২৭ মার্চ) সকালে ডিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে টিপু হত্যার বিষয়ে রোববার দুপুর দেড়টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। টিপু হত্যা মামলার সর্বশেষ আপডেট জানাতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
এদিকে হত্যার তদন্তে সাফল্যের খুব কাছাকাছি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে কারা লাভবান এবং কারা ক্ষতির সম্মুখীন হলো, তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে ঘটনাসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাওয়া গেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত। পাশাপাশি টিপুকে ফোনে হত্যার হুমকি বা সতর্ককারীর সূত্র ধরে এগিয়ে চলছে তদন্ত।
এ ছাড়া ঘটনাস্থল ও আশপাশের অন্তত সাতটি সিটিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মিলেছে কিলারদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর। খুব শিগগির চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘটনে পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তারা।
এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডে টিপুর ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক দূরত্ব রয়েছে এমন কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না। বিশেষ করে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও তার সামনের ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণ এবং এজিবি কলোনি ও পাশের বাজার নিয়ন্ত্রণের রাজনীতিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় সুচারু পরিকল্পনায় খুব কাছ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গুলিতে নিহত হন কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি।