ভোক্তাদের কাছ থেকে অর্থ লুণ্ঠনের অভিযোগ ক্যাবের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ২১ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৭ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গ্যাস চুরি ও পরিমাপে কারচুপি এবং অস্বাভাবিক ব্যয়ে চাহিদার অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছ থেকে অর্থ লুণ্ঠন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ক্যাব।
আজ সোমবার রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়াম গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবিত দামের ওপর গণশুনানি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানিতে এই অভিযোগ করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক উপস্থিত ছিলেন। ক্যাবের পক্ষে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন শামসুল আলম।
তিনি জানান, গ্যাসের বিদ্যমান মূল্যহার বহাল রেখে সব পর্যায়ের ট্যাক্স-ভ্যাট, লাইসেন্সধারীদের মুনাফা এবং অযৌক্তিক (লুণ্ঠনমূলক) ব্যয় কমিয়ে গ্যাসে আর্থিক ঘাটতি কমানোর প্রস্তাব করা হলো।
শামসুল আলম জানান, গ্যাস চুরি ও পরিমাপে কারচুপি এবং অস্বাভাবিক ব্যয়ে চাহিদার অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছ থেকে অর্থ লুণ্ঠন হচ্ছে। তার জন্য পেট্রোবাংলাসহ গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত সব কোম্পানির স্ব স্ব পরিচালনা বোর্ডকে অভিযুক্ত করা হলো। এই অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব লাইসেন্সধারীর মুনাফা মার্জিন রহিত করে ব্রেক-ইভেন্টে চলার আদেশ দেয়ার প্রস্তাব করা হলো।
ক্যাবের সুপারিশে বলা হয়, গ্যাস খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য অংশীজনদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করা হলো। এর আগে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আদেশগুলোর প্রদত্ত বিইআরসির আদেশাবলি পালন না করার দায়ে এবং গ্যাস খাত বিপর্যস্ত করার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারীদের বিরুদ্ধে বিইআরসি আইনের ৪৩ ধারা ও ৪৬ ধারা মতে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করা হলো। গ্যাস সেবাকে স্বার্থ-সংঘাতমুক্ত করার লক্ষ্যে, গ্যাস সেবা প্রদানকারী লাইসেন্সধারীদের পরিচালনা বোর্ডকে আমলা মুক্ত করার প্রস্তাব করা হলো, এ প্রস্তাব গণশুনানির প্রস্তাব হিসেবে সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব করা হলো।