ধর্ষণ ও নির্যাতনে জড়িতদের শাস্তি চায় মহিলা পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২০ মার্চ,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৭ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সাভারের আশুলিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পটুয়াখালীর বাউফলে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর হাত বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পৃথক তিন ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ যথাযথ শাস্তির দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ রবিবার বিকেলে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে তারা বলেন, সাভারের আশুলিয়ায় স্কুলছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে গোপনে তার পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও ধারণ করে এবং পরে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এক যুবক। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গত ১৮ মার্চ স্বামী-স্ত্রী খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার কামরুলের গ্যারেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কামরুলসহ চার-পাঁচজন জোর করে তাদের গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে তারা স্বামীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে গত ১৯ মার্চ পটুয়াখালীর বাউফলে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর হাত বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। একই এলাকার প্রতিবেশী নাসরুল্লাহ সিকদার শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে নাসরুল্লাহ দৌড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাগুলো উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবার-সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নারীর ইতিবাচক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। মহিলা পরিষদ এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণে আশু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে এবং এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের দাবি জানাচ্ছে। মহিলা পরিষদ পৃথক তিন ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা এবং সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।